জি বাংলার ‘ফুলকি’তে (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় থানা থেকে বেরিয়েই রুদ্র উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে ফুলকির চিন্তায়। অন্যদিকে ধানু জানিয়ে দেয়, সে আর রাজমহলে ফিরতে চায় না। ধানুর ভবিষ্যৎ আর ভালোবাসার কথা চিন্তা করেই লাবণ্য আদিত্যর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে ধানুকে নিয়ে। আদিত্যকে লাবণ্য বলে, যা হয়েছে সেটা তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে না টানাই ভালো।
কিন্তু আদিত্য জানায়, যেভাবে ধানু প্রতিনিয়ত ফুলকির পক্ষ নিয়ে গিয়ে ছোট রানীকে অপমান করছে, তার ফলেই তাঁদের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যদিও আদিত্য স্বীকার করে, সে ধানুকে ভালবেসে ফেলেছে এবং কখনোই সেটা ভোলা সম্ভব নয়। এদিকে রোহিত স্বাগতা ম্যাডামকে ফোন করে ফুলকি আর বড় রানীর নিখোঁজ হওয়ার কথা জানায়। স্বাগতা ম্যাডাম নবাবগঞ্জ আসতেই সবাই মিলে খোঁজে লেগে পড়ে।

খুঁজতে খুঁজতে রায়চৌধুরী বাড়ির পেছনের দিকে গাড়ির চাকার দাগ এবং কাদায় মানুষের পায়ের ছাপ খুঁজে যায় তাঁরা। রোহিত জানায়, প্রথমত এই দিকে তেমন বড় গাড়ি ঢোকে না আর দ্বিতীয়ত, আগের দিন রাতে রাজমহলের ছোট রানীর সঙ্গে ফুলকির বাজে ভাবে বচসা হয়েছে। তাই ছোট রানীই এই কাজ করিয়েছেন বলেই তাঁর বিশ্বাস। রোহিত এটাও বলে, ছোট রানী বাইরে থেকে যতটা ভালো মানুষ মনে হয়,
আসলে কিন্তু অতীতে অনেক খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি, মোটেই সুবিধার মানুষ নন। একথায় লাবণ্যও সহমত হয় আর ধানুকে এই বিষয়ে জানতে বারণ করে। থানায় সিসিটিভি ফুটেজ থেকে উদ্ধার হয় অপ’হ’রণকারীদের গাড়ির নম্বর এবং কোন জায়গায় গেছে। অন্যদিকে নবাবগঞ্জের বাইরে এক জেলে পাড়ায় ফুলকি আর রানীকে আটক করে রাখা হয়েছে। ছোট রানীর পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে সবকিছু সামলাচ্ছে রুদ্র।
আরও পড়ুনঃ মেয়ের মা হবেন টলি অভিনেত্রী! সাধের অনুষ্ঠানে মজার খেলায় মেতে উঠেছেন হবু মা অহনা দত্ত! জানেন ছেলে না মেয়ে কী হতে চলেছে তাঁর ?
একজন ডুবুরি ঠিক করা হয়, যাতে মাঝ সমুদ্রে ফুটো ট্রলার যখন জলের নিচে যাবে। সেখানে ডুবতে বসা বড় রানীকে বাঁচাবে সেই ডুবুরি। ফুলকি ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে রুদ্র। একদিকে ট্রলারের মালিক বলে দেন, যে রাতের আগে ট্রলার বের করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে রোহিতরা খুঁজতে খুঁজতে প্রায় সেই জায়গায় এসে পড়েছে, এই খবর রুদ্রর কানে আসতেই ভাড়া করা লোকেদের বলে যে করেই হোক ওদের আটকাতেই হবে।