জি বাংলার ‘ফুলকি’ (Phulki)র অজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে, ফুলকি চুপিচুপি বড় রানীর ঘরে ঢুকে যায়। সেখানে গিয়ে দেখে বড় রানী জ্বরে কাতরাচ্ছেন। ফুলকি জলপট্টি দিয়ে হবে বলে নিজের শাড়ির আঁচল থেকে কিছুটা কাপড় ছিঁড়ে নেয়। এরপর কিছুক্ষণ রানী মায়ের সেবা করার পর তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। ফুলকিকে দেখে তিনি আবদার শুরু করেন, যে একবার নৃসিংহ দেবের মন্দিরে যাবেন।
ফুলকি অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে যে উনি অসুস্থ কিন্তু উনি বলেন একবার ঘর থেকে বেরোলেই সুস্থ হয়ে যাবেন। ফুলকি আর আপত্তি করে না, বরং দ্বার রক্ষীর নজড় এড়িয়ে রানী কে মন্দিরে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে বড় রানী জানায় যে ফুলকিকে তাঁর নিজের মেয়ের মতন লাগে। রানী বলেন তাঁর মেয়ে জন্মের পরেই মারা গেছিল, কিন্তু আজও উনি একটা বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পান।

ডাক্তারকে বললে বলে মনের ভুল। ফুলকি বড় রাজার মৃত্যু প্রসঙ্গে প্রশ্ন করে, রানী কিছু বলার আগেই ছোট রানী উপস্থিত হয় এবং তাঁকে ঘরে নিয়ে যান। ফুলকি মনে মনে ভাবে যে বড় রানীর সাথে তাঁর কি সম্পর্ক যে এতোটা টান অনুভব করে সে। ফুলকি ঘরের দিকে যেতে গেলে লক্ষ করে বড় রানীর পরিচারিকা চন্দনাকে চড় মারলেন, এবং বড় রানী কি করে বাইরে বেরিয়ে গেল সেই নিয়ে কথা শোনাতে লাগলেন। ফুলকি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে না।
সে ভেতরে গিয়ে বলে সব দোষ তাঁর, তাই শাস্তিও তাকেই দিতে হবে। সেই মুহূর্তে ধানুও ফুলকিকে খুঁজতে খুঁজতে সেখানে উপস্থিত হয়। হঠাৎ রানী আবার ভালো মানুষের মুখোশ ধারণ করে বলে তিনি শাসন করছিলেন। ছোট কুমারও সেখানে পৌঁছায়, ফুলকি আর ধানু ঘরে ফিরে যায়। রানী প্রচন্ড ভয় পেয়ে ছোট কুমারকে বলে ফুলকির একটা ব্যাবস্থা করতে, নাহলে সব সত্যি বেরিয়ে যাবে। ফুলকি ঘরে যেতেই ধানু বড় কুমারের উপহার দেখায়।
আরও পড়ুনঃ টিআরপির লড়াইয়ে টিকে থাকতে জি বাংলা বদলাচ্ছে কৌশল! দর্শকদের জন্য এবার বড় ধাক্কা! শেষ হতে চলেছে একসাথে তিনটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক!
ফুলকি ধানুর খুশি দেখে মনে মনে বলে, এখানে লোকেরা যেমন দেখায় তেমন নয়, এটা কোন জায়গায় এসে পড়ল ধানু দিদি। রাতে ফুলকির কিছুতেই ঘুম আসে না, রোহিতকে ফোন করে সে জানায় সত্যিই এই রাজবাড়িতে অনেক রহস্য আছে আর ছোট রানী মানুষটা মোটেও ভালো না। দরজার আড়াল দিয়ে ছোট কুমার সবটা শুনে নেয়। সকাল হতেই ধানুর ভাত-কাপড়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর কি হবে জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।