জি বাংলার ‘ফুলকি’ (Phulki) তে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় বৌভাত থেকে বাড়ি ফিরে ফুলকির মনে পড়ে শিল্পা নিমন্ত্রিত থাকলেও আসেনি, রোহিত জানায় সে অনেকবার চেষ্টা করেছে যোগাযোগ করার কিন্তু পারেনি। ফুলকি সিদ্ধান্ত নেয় যে নিজে সকালে গিয়ে দেখবে কি হয়েছে তাঁর। অন্যদিকে ধানু আর আদিত্যর ফুলসজ্জা তে একে অপরকে কাছাকাছি আসে দুজনে। পরদিন সকালে ফুলকি শিল্পার বাড়ি যেতেই জানতে পারে শিল্পার মা যখন থেকে শুনেছে সে রাজবাড়িতে যাবে, তখন থেকেই অস্থির হয়ে আছেন।
তিনি বারবার শিল্পাকে সঙ্গে করে কলকাতা ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন।ফুলকি বুঝতে পারেনা হঠাৎ রাজবাড়ির কথা শুনে কেন উনি এরম করছেন। ফুলকি ভাবে বড় রানীর সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে হবে, উনি শিল্পার মাকে চেনেন কিনা। ফুলকি রোহিতকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে রাজবাড়ির উদ্দেশে, মাঝ পথে দুজনে গাড়ি থামিয়ে আইস্ক্রিম খায় কিন্তু ফুলকির কোথাও যেন একটা মন খারাপ। রোহিত জিজ্ঞেস করলে জানতে পারে, বড় রানীকে নিয়ে চিন্তা করছে ফুলকি।

ফুলকি রোহিতকে বলে বড় রানী একদম স্বাভাবিক কিন্তু কেন মানসিক রোগী বলে বন্দী করে রাখা হয় সেটাই জানতে হবে আর কেনই বা হঠাত শিল্পার মা এমন করছে রাজবাড়ির নাম শুনে। রাজবাড়িতে পৌঁছে দুজনে জানতে পারে ছোট রানী আর আদিত্য ব্যাবসার কাজে দুই দিনের জন্য বাইরে গেছে। বড় রানী মার খোঁজ করতে ধানু বলে যেহেতু ছোট রানী নেই তাই নিয়ম কানুনের বলাই নেই। সেই জন্যই হয়তো বড় রানী মন্দিরে গেছে।
অন্যদিকে দেখা যায় শিল্পার মা, ভারতী পুরোনো কথা মনে করতে থেকে। সেখানেই দেখা যায় তার স্বামী ছিল রাজবাড়ির একজন কর্মচারি, যাকে বড় রানীর সন্তানকে মারতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ওই দুধের শিশুকে না মেরে অনেক দূরে রেখে এসেছিলেন, সেই কথা স্ত্রীকে জানিয়ে বলছিলেন যে বড় রাজা মশাইকে বলবেন, ছোট রানী বিশ্বাস ঘাতকতা করছেন। ভারতী বারবার বারণ করা সত্ত্বেও তিনি বলেছিলেন এবং মারা যান ছোট রানীর ক্ষোভের শিকার হয়ে।
আরও পড়ুনঃ ‘দুর্বল নই, আমি একা একাই যোদ্ধা’, ‘একাকীত্বকে উপভোগ করুন দুর্বলতা হতে দেবেন না!’ পর্ণা বাস্তব জীবনেও যোদ্ধা! পর্দার বাইরেও অনুপ্রেরণার নাম পল্লবী শর্মা!
ভারতী কোনও রকমে শিল্পাকে নিয়ে পালিয়ে বাঁচেন। এদিকে রাজবাড়িতে বড় রানী নৃসিংহ দেবের মন্দিরে আরতি করতে থাকেন। তিনি ঠাকুরকে বলেন তাঁর স্বামী আর মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে। ঠিক সেই সময়ে ফুলকি হাজির হয়। পুজো থামিয়ে ফুলকিকে বড় রানী বলেন, ঠাকুর তাঁকে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তাঁর স্বামী আর মেয়ে বেঁচে আছে। ফুলকিকে কথা চান তিনি যাতে ফুলকি তাঁর স্বামী আর মেয়েকে খুঁজে এনে দেবে।
ফুলকি ঠিক করে আগের বারের মতো এবারও ছোট রাজা মশাই তাঁদের সাহায্য করতে পারবেন বড় রাজা বাবুর সম্মন্ধে তথ্য পেতে। ফুলকি আর রোহিত ছদ্মবেশ নেয় হীরকগর নামক এক জায়গায় রাজা রনি সেজে। ফুলকি ঠিক করে এক বোতল ফলের রস উপহার দেবে ছোট রাজাকে তবেই তিনি সত্যিটা বলবেন। এবার কি ফুলকি জেনে যাবে সে এই বাড়িরই মেয়ে? ফুলকির বাবা কি তবে জীবিত? আর কি কি সত্যি জানে ভারতী? সবটা জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।