জি বাংলার ‘ফুলকি’ (Phulki) ধারাবাহিকে ফুলকির অতীত ঘিরে রহস্য আরও গভীর হচ্ছে। একদিকে ঘুমের মধ্যে মায়ের ঘুমপাড়ানি গান শুনে আতঙ্কে কেঁদে ওঠে ফুলকি, অন্যদিকে খবরের কাগজে ধানুর নাম দেখে ছোট রানী মা ছেলের বিয়ের প্রস্তাব দেন রাজবাড়ির বড় কুমার এর সাথে বিবাহের। সংশোধনাগারে রুদ্রের হাতে আসে এমন এক কাগজ, যেখানে ফুলকির জন্ম-সংক্রান্ত গোপন তথ্য লুকিয়ে রয়েছে। সব মিলিয়ে ফুলকির চারপাশে তৈরি হচ্ছে রহস্যের ঘনজাল।
আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ফুলকিরা সবাই ধানুকে ডাকতে আসে তাঁর হবু শশুরবাড়ি থেকে আসা উপহার দেখার জন্য, কিন্তু ওই দিকে রাজকুমার আর রাজবাড়ি নিয়ে ভাবতে থাকা ধানু নিজের ঘরে অজ্ঞান হয়ে যায়। সবাই তাঁর জ্ঞান ফেরাতেই ধানু বলে ওঠে যে সে এখনো বিশ্বাস করতে পারছে না, যে তাঁর রাজবাড়ির বড় কুমার এর সাথে সম্বন্ধ হয়েছে। নিজেকে কিভাবে সাজাবে, কিভাবেই বা সব আদব-কায়দা শিখবে এই নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ধানু।

পরদিন সকালে লাবণ্য ফুলকিকে জানায় তাঁরা আজকেই রাজবাড়িতে যাচ্ছে পাকা কথা বলতে তাই তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নিতে। ঠিক সেই সময়ে ধানু সেখানে আসে কিন্তু তাঁর চাল চলনে রয়েছে এক নতুনের ছোঁয়া। সে নিজেকে রাজবাড়ির আদলে গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে এমনকি সে পাউরুটি খেতে কাঁটাচামচ আর ছুরি চায়। এই নিয়ে সবাই ধানুকে নিয়ে মজা করতে থাকে কিন্তু রোহিত বলে যতই রাজবাড়ি বা রাজকুমার হোক না কেন, রোহিত কিছুতেই নিশ্চিত হতে পারছে না এবং সে চায় ছেলেটাকে বাজিয়ে দেখতে।
লাবণ্যকে রোহিত বলে যে এতো তাড়াহুড়ো করে ধানুর বিয়ে দেওয়া ঠিক হচ্ছে না। তারপর সবাই মিলে রাজবাড়িতে যায়। সেখানে বর্তমান রাজা তাদের স্বাগত জানায়। সবাই যখন বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে গল্প করছে আর ধানুর ভাগ্যকে প্রশংসা করছে, ঠিক তখন কোনও এক অজ্ঞাত টানে ফুলকি বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়ে। রাজপ্রাসাদের দালানে দাঁড়িয়ে মুগ্ধ হয়ে ফুলকি ভাবে এতো বড় বাড়ি, যার শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। কে জানে এই বাড়িতে কারা থাকেন অথবা কি ইতিহাস এই বাড়ির।
ঠিক সেইসময় রাজবাড়ির অন্দরে ঘুমিয়ে থাকা বড় রানী উঠে পড়েন। তিনি অস্থির হয়ে পড়েন আর কারোর কথা শুনতে চান না। বারবার বলেন, “সে ফিরে এসেছে! আমি তাঁর কাছে যাব।” এরপর রাজবাড়ির সদস্যরা আর রায়চৌধুরীরা সকলে মিলে কুলদেবতার মন্দিরে পুজো দিতে যায়। সেখানেই প্রথম চোখাচুখি হয় ধানু আর রাজকুমারের, লজ্জায় লাল হয়ে যায় দুজনেই। অন্যদিকে দেখানো হয় ফুলকির জন্ম বৃত্তান্ত জানতে পেরে রুদ্র মনে মনে কোনও এক ফন্দি এঁটে ফেলে, রুদ্রকে বলতে শোনা যায় এই কাগজ তার হাতে পরা কোনও ঐশ্বরিক ইঙ্গিত।
আরও পড়ুনঃ গঙ্গোপাধ্যায় বাড়ি রুক্ষ মাটিতে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে আসছে ‘কুসুম’! — একদিকে কঠোর ব্যবসায়ী ও আদর্শ মা ইন্দ্রানী, অন্যদিকে প্রাণচঞ্চল মেয়ে কুসুম! জি বাংলার এই নতুন ধারাবাহিক আসছে কবে থেকে?
এদিকে রাজবাড়িতে কুলদেবতা নৃসিংহ দেবের পুজোতে বেস্ত সকলে, ফুলকি হাত জোড় করে ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করতে করতে বলে, “জানিনা কোন অজ্ঞাত কারণে এই জায়গার আসার পর আমার মনের মধ্যে তোলপাড় হচ্ছে। আমি কোনদিনও আমার জন্মদাত্রী মাকে দেখিনি, কিন্তু আজ তার জন্য প্রার্থনা করতে ইচ্ছা হচ্ছে। মনে হচ্ছে একবার তাকে যদি দেখতে পেতাম।”