জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ফুলকির হাতেই ছোট রানী-ছোট কুমারের পাচারচক্র ফাঁস! একাই গুন্ডাদের শায়েস্তা করল ফুলকি! এবার ছোট রানীর কী পরিণতি হতে চলেছে? ‘ফুলকি’তে আজকে টানটান পর্ব!

জি বাংলার ধারাবাহিক ‘ফুলকি’ (Phulki) র আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ‘মুড়িপুকুর’ এলাকায় অবশেষে ঢুকে পড়ে ফুলকিদের গাড়ি, কিন্তু যত গভীরে ঢুকতে থাকে ততই নির্জন আর অন্ধকার হতে থাকে জায়গাটা। এরই মাঝে একটা মালগাড়িকে পাশ দিয়ে যেতে দেখে ফুলকি কিছুটা সাহস পায়। ওই মালগাড়ি আসলে রানী মায়ের পাঠানো গাড়ি, যেটায় করে মানুষ পাচার হয়। আর ওই গাড়িতে বসে থাকা ছোট কুমার, ইন্দ্র লক্ষ করে তাঁদের পাশ দিয়ে চলে গাড়িতে ফুলকি আর সাথে পুলিশও আছে।

ভয় পেয়ে ইন্দ্র রাস্তায় কিছু কাঁচ ছড়িয়ে দেয়, যাতে ফুলকিরা আর পিছু নিতে না পারে। সেই মতন ওই রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে গাড়ি খারাপ হয়ে যায়, ফুলকি সিদ্ধান্ত নেয় যে পায়ে হেঁটেই বাবার খোঁজ করবে সে। অন্যদিকে ফুলকি বাবা সহ বাকি লোকদেরও ওই মালগাড়িতে তুলে পাচারের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয় ইন্দ্র। ছোট রানীকে খবর দেয়, যে কাজটা হয়ে গেছে আর তাড়াতাড়ি ফিরছে সে। ফুলকি আর বাকি পুলিশেরা খুঁজতে খুঁজতে একটা নির্জন জায়গায় পৌঁছায়, যেখানে অনেক ভাঙা বাড়ি।

Phulki, Zee Bangla Serial, Zee Bangla, Bengali Serial, New Episode, Upcoming Episode, Devyani Mondal, Abhishek Bose, Sudip Sarkar, Rudrarup Sanyal, ফুলকি, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, দিব্যানী মণ্ডল, অভিষেক বসু, সুদীপ সরকার, রুদ্ররূপ সান্যাল, নতুন পর্ব

ফুলকির সন্দেহ হওয়াতেই, ভিতরে গিয়ে পায়ের ছাপ, খাওয়ার থালা আর জলের কলসি দেখে ফুলকির সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। ফুলকি বলে, আর কিছুক্ষণ আগে এলেই সে বাবাকে পেয়ে যেত। ফুলকির হঠাৎ মনে পড়ে যে আসার সময়েও যে মালগাড়িটা তাঁদের পাশ কাটিয়ে চলে গেল, ঠিক সেই গাড়িটাই আবার তাঁদের পাশ দিয়েই চলে গেল। কিন্তু এত কম সময়ে গাড়িটা কিভাবে কাজ সেরে ফেলল? ফুলকির কথা শুনে স্বাগতা ম্যাডামের সন্দেহ হয়।

তাই তিনি গাড়িটার পেছনে ধাওয়া করার সিদ্ধান্ত নেন। কিছুদূর যেতেই গাড়িতে ধরে ফেলেন তাঁরা, আর সেখান থেকেই উদ্ধার হন ফুলকির বাবা সহ বাকিরাও। হঠাৎ গু’লি বর্ষণ শুরু করে দেন গুন্ডারা, আর উত্তরে পুলিশও পাল্টা কিছু গু’লি চালায়। একটা পর্যায়েই শেষ হয়ে যায় পুলিশের বন্দুকের গু’লি। আর সেই সুযোগ নিয়ে তাঁদের তিনজনের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে পাচারের জন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। এদিকে রায়চৌধুরী বাড়িতে বিয়ের জন্য আদিত্য বর বেশে হাজির হন।

বরণ করে তাঁকে ঘরে তোলেন জেঠিমণি। আর ইন্দ্রকে দেখতে পেয়ে ছোট রানী উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চায় সব কাজ ঠিকঠাক মতো হয়েছে কিনা। ইন্দ্র জানায় কোনও সমস্যা হবে না আর এতক্ষণে হয়ত পাচার হয়ে গেছে। সময় পেরিয়ে যাচ্ছে দেখে বিয়ে শুরু করার কথা বলেন ছোট রানী। তাঁরা বলেন বিশেষ সময়ের মধ্যে বিয়েটা শেষ করতে হবে। লাবণ্য ধানুকে ডাকতে যায়, কিন্তু হতাশ হয়ে নিচে ফিরে আসে জানায় যে ধানু স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে যে ফুলকিকে ছাড়া বিয়েই করবে না সে।

এই কথা শুনে একদিকে যেমন চিন্তায় পড়ে যায় সকলে। অন্যদিকে তখন লাইট হাউসের সামনে নিয়ে যাওয়া হয় ফুলকিদের, আর লঞ্চের অপেক্ষা করতে থাকে গুন্ডারা তাঁদের পাচারের জন্য। সুযোগ বুঝেই ফুলকি হাতের বাঁধনটা খুলে ফেলে মারতে শুরু করে এক একজন গুন্ডাকে। অবশেষে সবাইকে মেরে মাটিতে শুইয়ে দেয় সে। সেই মুহুর্তেই সেখানে পুলিশের ফোর্স চলে আসে। স্বাগতা ম্যাডাম জানতে চান ফুলকি কিভাবে হাতের বাঁধনটা খুলে দিলো? ফুলকি জানায় দিদির কাছ থেকে শিখেছে সে।

এরপর ধানুর বিয়ের কথা মনে পড়তেই ফুলকি তাড়াতাড়ি ফিরতে চায়, পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে তাঁদের দুজনকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। রায়চৌধুরী বাড়িতে তখন চিন্তার পরিবেশ, ফুলকি তাঁর বাবাকে নিয়ে প্রবেশ করতেই আবার সবাই আনন্দে মেতে ওঠে শুধু রানী মা আর ছোট কুমারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। ছোট রানী রাগে ফেটে পড়ে আর মনে মনে বলেন, ফুলকিকে তিনি ছাড়বেন না! কি হতে চলেছে ফুলকির সাথে? জানতে চোখ রাখুন আগামী পর্বে।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page