চার দশকেরও বেশি সময় ধরে পর্দায় নিজের অস্তিত্বকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত রেখেছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী (Famous Actress)। কিশোরী বয়সে যাঁর অভিনয়যাত্রার শুরু, আজও যাঁকে ঘিরে জল্পনা আর আলোচনার অন্ত নেই। পাঁচটি ভাষায় ২০০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করা এই অভিনেত্রী বরাবরই নিজের পছন্দ এবং অবস্থান স্পষ্ট করে তুলে ধরেছেন। কখনও তিনি শক্তিশালী মা, কখনও রহস্যময় নারী, আবার কখনও বলিষ্ঠ নেত্রী— একাধিক চরিত্রে নিজেকে ভেঙে গড়েছেন নিপুণভাবে। তবে জনপ্রিয়তার চূড়ায় পৌঁছেও নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বহুবার হয়েছেন সমালোচিত।
পেশার সীমানা পেরিয়ে তাঁর নাম জড়িয়েছে বিভিন্ন সম্পর্ক, বিতর্ক এবং সাহসী সিদ্ধান্তে। নব্বইয়ের দশকে হিন্দি ছবিতে বেশ কয়েকজন তাবড় অভিনেতার বিপরীতে দেখা গেলেও, মূলত দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই তিনি হয়ে ওঠেন সুপারস্টার। বলিউডে কাজ করলেও একাধিক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, সেখানে নিজের জায়গা খুঁজে পেতে কষ্ট হয়েছে তাঁর। মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ যেমন পাননি, তেমনই দর্শকমনেও স্থায়ী ছাপ ফেলতে পারেননি বলিপাড়ায়। বিপরীতে, তামিল, তেলুগু ও মালয়ালম ফিল্মে তাঁর জনপ্রিয়তা এবং চাহিদা বরাবরই তুঙ্গে।
তাঁর জীবনের সবচেয়ে বিতর্কিত অধ্যায়গুলোর একটি জড়িয়ে এক পরিচালককে ঘিরে। নব্বইয়ের শেষ দিকে দক্ষিণের এক নামী পরিচালকের সঙ্গে তাঁর পেশাদার সম্পর্ক ধীরে ধীরে ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতায় রূপ নেয়। যদিও তখন পরিচালক বিবাহিত ছিলেন, তবু এই অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক তৈরি হয় বলে ফিল্মপাড়ার অন্দরের দাবি। কানাঘুষোয় শোনা যায়, এই সম্পর্ক থেকে একসময় অভিনেত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। কিন্তু প্রেমিক পরিচালকের তরফে তখনই সম্পর্কের দায় স্বীকার না করায় একা এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হন তিনি।
সন্তান জন্মের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে গর্ভপাত করান, এমন কথাও রটে। এমনকি সেই গর্ভপাতের খরচ বাবদ পরিচালকের কাছে থেকে বিপুল অর্থও দাবি করেছিলেন বলে মনে করেন অনেকে। এরপর অবশ্য আর সেই পরিচালকের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখেননি তিনি। ধীরে ধীরে নিজের জীবন এগিয়ে নিয়ে যান। আবারও এক পরিচালকের প্রেমে পড়েন, যাঁকে শেষমেশ ২০০৩ সালে বিয়ে করেন। পুত্রসন্তানের জন্মের পর কিছুটা সময় অভিনয় থেকে বিরতি নেন। তবে ফিরে আসেন আরও বেশি শক্তিশালী রূপে।
আরও পড়ুনঃ ফের সিংহাসনে পরশুরাম, টিআরপি লড়াইয়ে গায়েব পরিণীতা! এই সপ্তাহে কে কাকে টপকে উঠল শীর্ষে?
২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এক ব্লকবাস্টার ছবিতে তাঁর চরিত্র দর্শকদের মন জয় করে নেয়। এতক্ষণে নিশ্চয়ই অনেকেই বুঝে গিয়েছেন, এই অভিনেত্রী আর কেউ নন, ‘বাহুবলী’ খ্যাত শিবগামী, অর্থাৎ রাম্যা কৃষ্ণণ। দীর্ঘ সময় ধরে চলচ্চিত্র দুনিয়ায় তাঁর যাত্রাপথ শুধুই কাজ নয়, ছিল লড়াই, সাহসী সিদ্ধান্ত আর অসংখ্য মানুষের ভালবাসায় গড়া এক আলাদা পরিচয়। তাঁকে এবার দেখা যাবে সানি দেওলের সঙ্গে ‘জাঠ’ ছবিতে। বয়স ছুঁয়েছে পঞ্চাশের গণ্ডি, তবুও তাঁর দ্যুতি এতটুকুও ম্লান হয়নি। বরং, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও প্রখর হয়েছে সেই আলো।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।