জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

একদিনের বাজারে ছ’হাজার টাকা খরচ! বাজার করতে নগদ নয়, চেকবই সঙ্গে নেন রতন! টলিউড অভিনেতা রতনের অভ্যেস শুনলে চমকে যাবেন! কেন এমন করেন অভিনেতা?

যেখানে ভালোবাসা, সেখানে কোন যুক্তি খাটে না! হ্যাঁ, এমনই এক আজব অথচ বাস্তব অভ্যেস টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ‘রতন সরখেল’ (Ratan Sarkhel) -এর। সাধারণত বাজার বলতে যেখানে সবাই হাতে বা কাঁধে থলে আর পকেটে নগদ কিছু টাকা নিয়েই বের হন, সেখানে রতনের সঙ্গী থাকে একটা চেক বই! শুনে অবাক লাগলেও, ঠিক এ ভাবেই রোজকার বাজার সেরে থাকেন তিনি।

জি বাংলার ‘দাদাগিরি’ রিয়ালিটি শো-এর মঞ্চেই অভিনেতা প্রথমবার ফাঁস করেন এই মজাদার অভ্যেস। সৌরভ গাঙ্গুলির সামনেই মুখ খোলেন রতন, জানান তাঁর এই চেক বই কাণ্ডের আসল কারণ। একান্নবর্তী পরিবারে বড় হওয়া রতন এখনোও যৌথ পরিবারের সঙ্গেই থাকেন। তাঁদের পরিবারে রয়েছেন প্রায় চব্বিশ জন সদস্য। সেই অনুযায়ী প্রতিদিনের বাজারের পরিমাণও একেবারে অন্যরকম।

বাজার করতে বরাবরই পছন্দ করেন অভিনেতা। রতনের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মাছ এবং আম। বিশেষ করে ইলিশের প্রতি তাঁর আলাদাই প্রেম। কিন্তু চব্বিশ জনের খাওয়ার জন্য বাজার করতে গেলে, বিশেষ করে ইলিশ মাছের মতো দামী সামগ্রী কিনতে গেলে যে টাকা লাগে, তা নগদ বহন করা বেশ ঝুঁকির। আর তাই, নিজের মতো করেই সমাধান খুঁজে নিয়েছেন অভিনেতা— সঙ্গে রাখেন চেক বই।

এমনও ঘটনা ঘটেছে, যেখানে শুধুমাত্র ইলিশ মাছের বিল হয়েছে ছ’হাজার টাকা। নগদ দেওয়ার উপায় না দেখে মাছ বিক্রেতার হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন চেক। আর ঠিক সেই ঘটনার পর থেকেই, এই ‘চেক বই নিয়ে মাছের বাজারে’ যাওয়া গল্প ছড়িয়ে পড়ে টলিপাড়ার অন্দরে। রতনের কথায়, এতে অসুবিধে কিছু নয়, বরং সময়মতো পেমেন্টও হয়ে যায় আর বিশাল অঙ্কের টাকা সঙ্গে নিয়ে বেরনোর ঝুঁকিও থাকে না।

আরও পড়ুনঃ চুপিসারে পর’কীয়া, তারপর অন্তঃসত্ত্বা! বিবাহিত পরিচালকের সন্তানের মা হতে চেয়েছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী! পরিণতি যা হয়েছিল, তা ভাবনাতীত! জনপ্রিয় অভিনেত্রীর জীবনের গোপন অধ্যায় ফাঁস!

এই ছোট্ট অভ্যেস থেকেই যেন স্পষ্ট রতনের বাস্তব জীবনের সাদামাটা অথচ গভীর চিন্তাভাবনার পরিচয়। সিনে পর্দায় যেমন তিনি সাবলীল, তেমনই বাস্তব জীবনে হিসেবি ও দায়িত্ববান। পরিবার, রুচি আর জীবনযাত্রা— সব কিছু সামলে যে তিনি আজও স্বতন্ত্র। পর্দার গম্ভীর চরিত্রদের আড়ালে, তার এক মজাদার ঝলকও পাওয়া গেল এই ‘চেক বই’ কাহিনিতে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।