জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

দীর্ঘ বিরতির পর ছোট পর্দায় ফিরলেন স্নেহা! ‘রাজ রাজেশ্বরী রাণী ভবানী’তে নতুন চরিত্রে অভিনয়ের বড় চ্যালেঞ্জ! এমন চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা নেই! অভিনেত্রী কেন রাজি হলেন এই চরিত্রের জন্য?

অভিনয় জগতে অনেকেই এক সময় নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু কেউ কেউ আবার ধীরে ধীরে ফিরে আসেন নতুন রূপে, নতুন চরিত্রে, নতুন লড়াইয়ে। ছোট পর্দার পরিচিত মুখ ‘স্নেহা চট্টোপাধ্যায়’ (Sneha Chatterjee) সেই লড়াকু অভিনেত্রীদেরই একজন। টেলিভিশনে এক দশকেরও বেশি সময় পার করে, দর্শকের মন জয় করলেও, মাঝের কিছুটা সময় স্নেহা ছিলেন ক্যামেরার আড়ালে। নিয়মিত কাজ না থাকায় হতাশা জমেছিল ঠিকই, তবে থেমে থাকেননি।

অবশেষে ফের একবার ছোট পর্দায় কামব্যাক করলেন তিনি ‘রাজ রাজেশ্বরী রাণী ভবানী’ ধারাবাহিকের হাত ধরে। এই ধারাবাহিকে স্নেহাকে দেখা যাচ্ছে এক বাল্যবিধবার চরিত্রে। সাধারণত যে ধরনের চরিত্র তাঁর ঝুলিতে নেই, ঠিক সেই চ্যালেঞ্জিং ভূমিকাতেই এবার নিজেকে মেলে ধরেছেন তিনি। এমন একটি চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে শুরুতে খানিক দ্বিধায় ছিলেন বটে, তবে পরে চরিত্রটির গভীরতা, সময়কাল এবং ভাষার ভিন্নতা তাঁকে আকৃষ্ট করে।

চরিত্রটি আদ্যোপান্ত একটি গ্রাম্য পরিবেশে বেড়ে ওটা, যেখানে ব্যবহৃত হয়ে খাঁটি বাঙাল ভাষা। স্নেহা মনে করেন, এই ধরনের প্রজেক্টে তিনি অনেক কিছু নিজে থেকে দিতে পারবেন, তাই তিনি এই কাজটি করতে রাজি হয়েছেন। এর আগেও স্নেহা ‘সুবর্ণলতা’র মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন, যেখানে কিছুটা একই ছোঁয়া ছিল। তবে ‘রাজ রাজেশ্বরী রাণী ভবানী’ যেন আরও গভীর, আরও আলাদা। এই ধারাবাহিকে তাঁর চরিত্র সামাজিক বাস্তবতার আয়নায় এক নতুন প্রতিচ্ছবি।

ছোট পর্দায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থাকলেও, এই বিশেষ ধরনের প্রজেক্টের অভিজ্ঞতা তাঁর কাছে একপ্রকার নতুন। তবে শুধু ধারাবাহিকেই নয়, ওয়েব সিরিজ এবং বড় পর্দাতেও সমানভাবে কাজ করছেন স্নেহা। সদ্য মুক্তি পাওয়া তাঁর ছবি ‘গৃহপ্রবেশ’ ইতিমধ্যেই দর্শকের নজর কেড়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে শুধুই ছোট পর্দার অভিনেত্রী হিসেবে গড়তে চান না তিনি। বরং বিভিন্ন মাধ্যমে নিজেকে ছড়িয়ে দিতে চান অভিনেত্রী। তাঁর মতে, এখনকার যুগে একাধিক মাধ্যমে কাজ করাই ভবিষ্যতের পথ।

আরও পড়ুনঃ একদিনের বাজারে ছ’হাজার টাকা খরচ! বাজার করতে নগদ নয়, চেকবই সঙ্গে নেন রতন! টলিউড অভিনেতা রতনের অভ্যেস শুনলে চমকে যাবেন! কেন এমন করেন অভিনেতা?

তবে কাজের ফাঁকে পরিবার ও সন্তানকে সময় দেওয়ার বিষয়েও বরাবরই সচেতন স্নেহা। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অর্থনৈতিক স্বাধীনতার জন্য ধারাবাহিকে কাজ করলেও এমন কোনও কাজ করতে চান না যেখানে পরিবারকে সময় দেওয়া সম্ভব না হয়। তাঁর এই স্পষ্ট সিদ্ধান্ত এবং দায়িত্ববোধই তাঁকে আলাদা করে তোলে আজকের দিনে। অভিনয়ই জীবনের সবকিছু নয়, সেই বার্তাই যেন দিয়ে গেলেন তিনি তাঁর নতুন যাত্রার শুরুতেই।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।

                 

You cannot copy content of this page