Entertainment

Neem Phuler Modhu: রুচি ভেবে ঘুমের ঘোরে বাবাকে আই লাভ ইউ বলে দিল চয়ন! পেটাল ‘ধ্যাস্টামো’ জেঠু

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu)। ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে রয়েছে পর্ণা (Parna), যে দত্ত বাড়ির সকলকে সমস্ত বিপদের থেকে বাঁচাতে সর্বদা ঝাঁপিয়ে পড়ে। পর্ণা একজন সাহসী মেয়ে, যে পুরোনো রীতির সঙ্গে নতুনের মেলবন্ধন করে নিজের জীবনকে উপভোগ করে। সংসারের সমস্ত কাজ করার পাশাপাশি একজন সাংবাদিক হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। পর্ণার এই চরিত্রটিকে খুব পছন্দ করেন দর্শক।

পর্ণার উপর এখন অভিমান করে রয়েছে পর্ণার স্বামী সৃজন (Srijan)। আর এই সুযোগে পর্ণার শাশুড়ি কৃষ্ণা (Krishna) পর্ণাকে এ বাড়ি থেকে তাড়ানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। পর্ণাকে কৃষ্ণার কোনওদিনই পছন্দ ছিল না। কিন্তু কৃষ্ণার বিপদেও পর্ণা এগিয়ে আসে। সৃজনের চাকরি চলে গেলে পর্ণা নিজের বুদ্ধিতে একটি ব্যবসা শুরু করে। আর সেই ব্যবসার অনেক নামডাক হয়। সৃজন পর্ণার উপর রেগে সেই ব্যবসা থেকে পর্ণাকে সরিয়ে ঈশা (Isha) বলে একটা মেয়েকে রাখে।

পর্ণা যদিও তারপরও সৃজনকে তার ব্যবসার জন্য সাহায্য করে। ঈশা পর্ণার এই ব্যবসাকে নিজের নামে করতে চায়। আর তাই পর্ণাকে সরিয়ে ঈশা সৃজনের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগে থাকে। পর্ণা ইশার এই মতলবের কথা যদিও আগে থেকেই জানে। অন্যদিকে পর্ণার দেওর চয়ন পর্ণার এক বন্ধুর প্রেমে পড়েছে। যদিও চয়ন পর্ণার সেই বন্ধু রুচিকে এখনও কিছু বলে উঠতে পারেনি। তাই পর্ণা এবার চেষ্টা চালাচ্ছে চয়নের সঙ্গে রুচির মিল করিয়ে দেওয়ার।

চয়নের বাবা যদিও এসব ভালোবাসা একেবারেই পছন্দ করে না। এদিকে ঈশা পর্ণার এই পরিকল্পনার ব্যাপারে জেনে যায়। পর্ণা চয়ন ও রুচির জন্য একান্তে একটা রেস্টুরেন্টে ডিনারের ব্যবস্থা করে। আর সেখানে চয়নকে তার মনের কথা রুচিকে বলতে বলে। ঈশা পর্ণার এই প্ল্যানের কথা জেনে এবার পর্ণাকে সকলের সামনে খারাপ করার অপেক্ষায় থাকে।

চয়ন কিছুদিন আগেই পুলিশের চাকরি পেয়েছে। এবার চয়ন নিজের জীবনে এক অন্য মোড় আনার প্রচেষ্টায় রয়েছে। সে এখন স্বপ্নতেও রুচিকে দেখে আর ঘুমের ঘোরে নিজের বাবাকে রুচি ভেবে ‘আই লাভ ইউ’ বলে ফেলে। ছেলের মুখে এমন কথা শুনে তো পর্ণার জ্যাঠা খুব রেগে যায়। চয়নকে তখনই মারতে থাকে। সেসময় আওয়াজ শুনে পর্ণা চয়নকে জ্যাঠার হাত থেকে বাঁচায়। তবে কি এবার চয়নের ভালোবাসার কথা জেনে যাবে সকলে?

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।