Bangla Serial

Kar Kacche Koi Moner Kotha Actor: শিমুলকে পেটানো স্বামী পরাগের বাস্তবে রয়েছে ফুটফুটে কন্যাসন্তান! দেখে নিন তার আসল স্ত্রীকেও

এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের (Bengali Television) পর্দায় চলা জি বাংলার (Zee Bangla) জমজমাট ধারাবাহিকের নাম কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Katha)। উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকটি অবশ্যম্ভাবী বিতর্কের কারণে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেলেও এই ধারাবাহিকের গল্প তীব্রভাবে আকর্ষণ করছে দর্শকদের। আর তার জন্যই মিলেছে জনপ্রিয়তা। টানটান উত্তেজনায় ভরা বিভিন্ন সব প্লট উঠে এসেছে এই ধারাবাহিকে। নিত্যদিনই এই ধারাবাহিকের বিভিন্ন গল্প মনোরঞ্জন করে দর্শকদের।

এই ধারাবাহিকে একাধিক তারকার সমাহার রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছেন তাবড় তাবড় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। মানালি দে, স্নেহা চট্টোপাধ্যায়, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়ের মতো সমস্ত শক্তপোক্ত অভিনেত্রীরা রয়েছেন এই ধারাবাহিকে। আর তাই এই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা পাওয়া আবশ্য‌ক ছিল।

এই ধারাবাহিকে বৈবাহিক ধর্ষণ থেকে শুরু করে, শ্বশুরবাড়িতে একজন সদ্য বিবাহিতা নারীর ওপর হওয়া অত্যাচারের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। অত্যাচারী স্বামী পরাগের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা দ্রোণ মুখোপাধ্যায়। পরাগের চরিত্রে নিখুঁত তার অভিনয়। আর সেই কারণেই দর্শকদের কাছে অসহ্য হয়ে উঠেছে এই চরিত্রটি। আসলে নিজের অভিনয়ে দর্শকদের গায়ে জ্বালা ধরিয়েছেন তিনি। আর তাই এই ধারাবাহিকে নায়ক পরিবর্তনের দাবি তারা বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন।

বোলপুরের ছেলে অভিনেতা দ্রোণ মুখোপাধ্যায়। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা। আর সেই সূত্রেই এসেছিলেন কলকাতায়। যদিও বাড়িতে ছিল গান, থিয়েটার, নাটকের পরিবেশ। আর তাই ইঞ্জিনিয়ার হ‌ওয়ার স্বপ্নকে বিসর্জন দিয়ে তিনি পা বাড়ান অনিশ্চয়তার পথে। টুকটাক অভিনয়। পরে মেলে বড় চরিত্র। এর আগে বিভিন্ন ধারাবাহিকে এমনকী সিনেমায় অভিনয় করেছেন দ্রোণ মুখোপাধ্যায়। তবে এই ধরনের নেগেটিভ চরিত্রে এই প্রথম।

আসলে দ্রোণ মুখোপাধ্যায়ের মা ভীষণ ভালো গায়িকা ছিলেন। আর সেখান থেকেই অভিনেতার গানের সঙ্গে সখ্য। বাবা ছিলেন থিয়েটারের কর্মী। আর তাই অভিনয়‌ও তাকে টেনেছিল। এহেন অভিনেতা কিন্তু ঘোরতর সংসারী। শুধু কী সংসারী? পর্দার বউ পেটানো পরাগ এক সন্তানের বাবাও। কন্যা সন্তান রয়েছে অভিনেতার। দারুন সুখী সংসার তার। চিনে নিন অভিনেতার স্ত্রী এবং সন্তানকে।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।