কথায় আছে ভোজন রসিক বাঙালি। বাঙালিদের তৈরি বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু পদের জুড়ি মেলা ভার। পদ আমিষ হোক বা নিরামিষ কিংবা হোক মন্ডা মিঠাই বাঙালি রান্নায় রয়েছে আলাদা জাদু। তবে সেটা মিষ্টি হলে তো আর কোন কথাই নেই। বাংলার মিষ্টির বিভিন্ন প্রান্তের মিষ্টির স্বাদ আর মিলবে না কোথাও। আর যদি সেটা কলাইয়ের ডাল অমৃতি হয়, তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। একবার খেলে আর ভুলবেন না।
কোথায় পাবেন এই কলাইয়ের ডালের তৈরি অমৃতি?
২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিজেদের ঐতিহ্যপূর্ণ এই মিষ্টির দোকানটি ধরে রেখেছেন মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি কালীবাড়ি রোডের মিষ্টান্নশিল্পী প্রদীপ কুমার দত্ত। মিষ্টি স্বাদের মচমচে অমৃতি। ব্যবহার করেন না কোন রং বা ভেজাল। মিষ্টান্নটি তৈরি হয় শুধুমাত্র কলাইয়ের ডালের গুঁড়ো মিশিয়ে। আর তাতেই খাদ্যরসিকদের মন জয় করে নিয়েছে মিষ্টান্নশিল্পী প্রদীপ কুমার দত্তের তৈরি এই কলাইয়ের ডালের অমৃতি। আজও দোকানে এই অমৃতি তৈরি হলেই নিমেষের মধ্যে শেষ হয়ে যায়।
কিভাবে তৈরি হয় এই কলাইয়ের ডালের অমৃতি?
যদিও এই মিষ্টিটি জনপ্রিয় বহুযুগ ধরেই। বাংলার বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে বেসন দিয়েই তারা তৈরি করে এই মিষ্টান্নটি। কিন্তু একেবারে খাঁটি পদ্ধতিতে কলাইয়ের ডাল ভেঙে সেটাকে বেঁটে তেলে ভেজে তারপর গরম রসের মধ্যে চুবিয়ে তৈরি করা হয় থাকে মচমচে এই অমৃতি। যার স্বাদ একেবারে অতুলনীয়।
মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহরের কালীবাড়ি রোডে এখন পাওয়া যায় এই মিষ্টান্নটি। প্রতিদিন বিকেল হলেই ভিড় জমান ক্রেতারা। দোকানে উপচে পড়ে ভিড়। তবে প্রদীপ কুমার দত্তের তৈরি কলাইয়ের ডাল বেঁটে ভেজে রসে চুবানো অমৃতি একসময় দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছিল। যদিও কালের পরিবর্তনে বর্তমানে ভাটা পড়েছে এই ঐতিহ্যে।
কত টাকায় পাওয়া যাবে এই অমৃতি
বর্তমান সময়ে রং ও কেমিক্যালের কারণে দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে যাচ্ছে আসল কলাইয়ের ডালের অমৃতির স্বাদ। তবে ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ঐতিহ্যপূর্ণ এই মিষ্টির রেসিপি কান্দি শহরের কালীবাড়ি রোডের মিষ্টান্নশিল্পী প্রদীপ কুমার দত্ত। খাদ্যরসিক বাঙালিদের কাছে কলাইয়ের ডাল দিয়ে তৈরি এই অমৃতি কান্দি শহর তথা গোটা মুর্শিদাবাদ জেলায় বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়েই পাওয়া যাবে এই অমৃতি। প্রতিদিন দোকানে ৬০০টিরও বেশি অমৃতি তৈরি করেন বলে দাবি করছেন এই মিষ্টান্ন বিক্রেতা।