Phulki Today Episode: বর্তমানে জনপ্রিয়তা নিরিয়ে জি বাংলার (Zee Bangla) শীর্ষ ধারাবাহিক ফুলকি (Phulki)। নতুন নতুন চমকে কারণে দিনে দিনে বেড়েছে ধারাবাহিকের টিআরপি। যদিও বর্তমানে আর পাঁচটি ধারাবাহিকের মতোই আইপিএল ও ভোটের শিকার ফুলকি। এই সপ্তাহে এক ধাক্কায় কমেছে অনেকটা টিআরপি। তবুও এখনও সন্ধ্যে সাড়ে ৭টার স্লটে নিজের রাজত্ব কায়েম রাখতে সক্ষম হয়েছে ফুলকি।
সম্প্রতি ধারাবাহিকের কাহিনীতেও এসেছে নতুন মোড়। ঈশিতা আর রুদ্রর কলেজের সময়ের কেলাকারীর কথা জেনে গেছে ফুলকি। তারপরই সে শুরু করেছে তদন্ত। ফুলকির লক্ষ্য একটাই নির্দোষ, নিরপরাধী ছন্দক দাদাকে জেল থেকে ছড়িয়ে আসল দোষীকে সকলের সামনে নিয়ে আসা। আর ফুলকির যেমন কথা তেমন কাজ। ছন্দককে ছাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যেই প্রমাণ জোগাড় করা শুরু করে দিয়েছে ফুলকি। তবে এবার ফুলকির সঙ্গে ধানু, পিয়াল, তমাল, অংশু সহ রয়েছে রোহিত।
ফুলকির আজকের পর্ব ১৮ মে (Phulki Today Episode 18 May)
রোহিত, অংশু এবং ধানুকে নিয়ে কেসটাকে ভাবতে শুরু করে ফুলকি। প্রথমে অংশুমানের হাতে হাতুড়িটা ধরিয়ে দিয়ে ফুলকি এবং ধানুকে দাঁড় করিয়ে দেয় জয়িতার জায়গায়। তারপর নিজে এবং রোহিত দাঁড়িয়ে পড়ে সেই দুজন মানুষের জায়গায় যারা ঝালেমা করছিলেন। এরপর ফুলকি সাজাতে থাকে পুরো কেসটা। ফুলকি বুঝে যায় এই দুইজন যারা সাবানের চাবির ছাপ নিয়েছিল তারাই আসলে জয়িতাকে মেরে ফেলেছে। তখনই ধানু বলেন ডাক্তার চ্যাটার্জী কোন ভুল করেছেন। এটা শুনেই দাঁড়িয়ে যান জেঠুমণি। এরপর ঘরে ঢুকে তিনি বলেন ডাক্তার চ্যাটার্জী তার বন্ধু। তিনি তাকে এই বাড়িতে ডাকবেন।
ফুলকিদের পরিকল্পনা ধরে ফেলল রুদ্র
ওদিকে রুদ্রর সঙ্গে কথা বলতে ঈশিতা চলে যায় তার অফিসে। সেখানেই গিয়ে সে জানায় শালিনী শুনেছে ফুলকিরা কোথাও একটা কীর্তন করতে গিয়েছিল। তখনই রুদ্রকে ফোন করে সদানন্দবাবু জানান ওই থানায় যেখানে ছন্দকের ফাইল ছিল সেখানে একটি কীর্তনের দল এসে সমস্ত পুলিশদের খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে ছন্দকের প্রমাণগুলো নিয়ে গেছে। কথাটা শুনেই দুইয়ে দুইয়ে চার করে ফেলে রুদ্র। যদিও প্রমাণগুলো নকল হওয়ার কারণে সে এই বিষয়ে নিয়ে বেশি মাথা ঘামায় না।
আরো পড়ুন: অবশেষে সব কষ্টের অবসান! লাইফ সাপোর্টে দীর্ঘ লড়াই, প্রয়াত মোনালি ঠাকুরের মা
জয়িতার আসল পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেয়ে পর্দা ফাঁস হয়ে গেল ঈশিতার
এদিকে ডাক্তার চ্যাটার্জী চলে আসেন ফুলকিদের বাড়িতে। আসার সময় তিনি জয়িতার আসল পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নিয়ে আসেন যেটা তিনি সেইসময় বানিয়েছিলেন। এমনকি তিনি এও বলেন যে প্রয়োজনে তিনি কোর্টে গিয়ে সাক্ষী দেবেন। সবটা শুনে চমকে যায় ঈশিতা। পরেরদিন কেসটা নিয়ে কথা বলার জন্য ছন্দকের সঙ্গে দেখা করতে চলে যায় রোহিত আর ফুলকি। ফুলকি আর রোহিতের ওপর লুকিয়ে লুকিয়ে নজর রাখতে শুরু করে রুদ্র এবং তিওয়ারি। রুদ্র এটা স্পষ্ট বুঝে যায় ঈশিতাকে বাঁচানো এবার সত্যি কঠিন হয়ে উঠেছে। তাহলে কি এবার পর্দায় ফাঁস হবে ঈশিতার, আপনাদের কি মনে হয়?