Tollywood

Dhruba Jyoti Sarkar: ‘যতটুকু প্রাপ্য ততটুকুই পাবো! বেশি লোভ করি না’! কার উপরে অভিমান করলেন মিঠাইয়ের ‘সোমদা’?

তিনি বাংলা টেলিভিশন দুনিয়ার অন্যতম অপরিহার্য একজন অভিনেতা। নায়ক চরিত্র থেকে শুরু করে পার্শ্ব চরিত্র সবদিকেই তিনি তুখোড়। তিনি অভিনেতা ধ্রুবজ্যোতি সরকার (Dhruba Jyoti Sarkar)। বাংলা টেলিভিশন দুনিয়ায় যার জনপ্রিয়তা অবাধ। একের পর এক ধারাবাহিকে নিজের অভিনয় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি।

ভীষণ রকম জীবনমুখী পজিটিভ চরিত্রের এই মানুষটাকে পর্দায় আমরা নেগেটিভ চরিত্রে বেশি দেখে থাকি। কখনও তিনি ‘অগ্নিপরীক্ষা’র জনপ্রিয় ময়ূখ।‌ আবার কখনও ‘আমার দুর্গা’র ‘মিহির’ হয়ে ছোটপর্দা কাঁপিয়েছেন। কখন‌ও তিনি ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে সোমদা হয়ে উঠেছেন তো কখনও আবার ‘পিলু’ ধারাবাহিকের মল্লার।

নেগেটিভ থেকে পজেটিভ, সবরকম চরিত্রেই অভিনয় করার সমান দক্ষতা রয়েছে অভিনেতা ধ্রুবজ্যোতি সরকারের মধ্যে। ইন্ডাস্ট্রিতে এতবছর কাটিয়েও তিনি একজন পার্শ্ব অভিনেতা হিসাবেই রয়ে গেলেন। যদিও এই নিয়ে বিশেষ আক্ষেপ নেই অভিনেতার নিজের। বর্তমানে ‘মিলি’ ধারাবাহিকের রাহুল অকপটে বলেন, আজ যখন পিছন ফিরে তাকাই মনে হয় কোথা থেকে শুরু করেছিলাম! একজন ডান্সার হয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলাম, আর আজ এত মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি। এটাই আমার কাছে প্রাপ্তি।

একইরকম ভাবে অর্থের প্রতিও বিশাল কোন‌ও টান নেই এই অভিনেতার। অকপটে বলেন জীবনে বাঁচার জন্য অর্থ উপার্জন প্রয়োজন। তবে সেটা নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে নেওয়ার মতো হলেই হল। বুঝেশুনে খরচ করলে স্বচ্ছন্দে জীবন কাটানো যায়। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ভাগ্যে যা নির্ধারিত হয়ে রয়েছে ততটুকুই পাবেন। কখনই বেশিও পাবেন না কমও পাবেন না। আর তাই কোন কিছু নিয়েই আকাঙ্ক্ষা করেন না তিনি।

আরও পড়ুন: ১১ মাস পর ফের বেঙ্গল টপার ‘জগদ্ধাত্রী’! অনুরাগের ছোঁয়া-কে পিছনে ফেলে কি বলছেন স্বয়ম্ভু?

এই মুহূর্তে পর্দায় মিলি ধারাবাহিকে রাহুল চরিত্রটিতে অভিনয় করছেন তিনি। এই চরিত্রটি ভীষণ রকম সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাডিক্টেড। সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের চোখের জল পর্যন্ত বেচে দিতে পারে সে। কিন্তু বাস্তব জীবনে সম্পূর্ণ ভিন্ন মুখী অভিনেতা ধ্রুবজ্যোতি সরকার। ইচ্ছে হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন নয়ত করেন না। তারকা বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে হবে এরকম বাধ্যবাধকতাকে তিনি মানে না।‌ একইরকম ভাবে ভীষণ আবেগী মানুষ তিনি। আর তাই ইন্ডাস্ট্রির ভালো মানুষের তকমাটা তাকে নিঃসন্দেহে দেওয়াই যায়।

Titli Bhattacharya