জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

হাসপাতালে ভর্তি রাহুল-প্রীতির কন্যা! অসুস্থ ছোট্ট আইরা, কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা প্রীতি! খুদের অসুস্থতা চিন্তায় ফেলেছে! সকলকে প্রার্থনায় অনুরোধ মা-বাবার!

মাত্র দশ মাস বয়সেই তারকা দম্পতি ‘রাহুল মজুমদার’ (Rahul Mazumdar) এবং ‘প্রীতি বিশ্বাস’ (Prity Biswas) এর কন্যা আইরা (Aira) সমাজ মাধ্যমে এক সুপরিচিত মুখ হয়ে উঠেছে। ছোট্ট এই খুদের প্রতিটি হাসি, অভিব্যক্তি বা চলাফেরাই যেন মুগ্ধ করে ভক্তদের। স্বাভাবিকভাবেই তার শারীরিক অবস্থা একটু খারাপ হলেই উদ্বেগ ছড়ায় অনুরাগীদের মধ্যেও। সম্প্রতি হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়ে আইরা, যা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন তার বাবা-মা সহ ঘনিষ্ঠরা। কী হয়েছে এই একরত্তির?

জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই হালকা ঠান্ডা ও সর্দিতে ভুগছিল আইরা। ধীরে ধীরে সেই অসুস্থতা জটিল আকার নেয় এবং শরীরের তাপমাত্রা গিয়ে পৌঁছায় ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইটে। এই পরিস্থিতিতে আর ঝুঁকি না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। শুধুমাত্র জ্বর নয়, শরীরে একাধিক জটিলতা দেখা দিয়েছিল, যা নিয়ে চিকিৎসকরাও প্রথমে কিছুটা চিন্তিত ছিলেন।

Prity Biswas, Rahul Majumder, tollywood, প্রীতি বিশ্বাস, রাহুল মজুমদার, টলিউড

মেয়ের অসুস্থতা নিয়ে কার্যত ভেঙে পড়েন মা প্রীতি। হাসপাতালেই মেয়ের পাশে থাকছেন তিনি দিন-রাত। নিজের উদ্বেগ এবং আইরার বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে অনুরাগীদের কাছে প্রার্থনার আবেদন জানান তিনি। এত অল্প বয়সেই মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হওয়া, এক মা হিসেবে এই পরিস্থিতি তাঁর কাছে যে কতটা কষ্টের, তা পোস্টেই প্রকাশ পেয়েছে।

তবে কিছুটা স্বস্তির খবর, যে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে আইরা। প্রীতি জানিয়েছেন, এখন আর জ্বর আসেনি ফলে আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো আছে সে। চিকিৎসকরাও আশাবাদী যে, যদি আগামী ২৪ ঘণ্টা জ্বর বা অন্য কোনও উপসর্গ না দেখা যায়, তবে আইরাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে এবং সে বাড়ি ফিরতে পারবে।

রাহুল ও প্রীতির অনুরাগীদের কাছে আইরা কেবল তারকাসন্তান নয়, বরং পরিচিত ব্যাক্তিত্বের সন্তান হিসেবে একপ্রকার পরিবারের সদস্যর মতনই। তার অসুস্থতার খবরে যে দুশ্চিন্তার ছায়া নেমেছিল ভক্তদের মনে, তারই মাঝে এখন আশার আলো। সকলেই চায়, ছোট্ট আইরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসে তার সেই চেনা হাসি আর প্রাণবন্ততায় ভরা রূপে।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।