Tollywood

ঐন্দ্রিলা‌ই ছিলেন শক্তি, অনুপ্রেরণা! অতীত ভুলে জীবনে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিলেন সব্যসাচী! সুখবর দিলেন নিজেই

বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় আধ্যাত্মিক এবং ভক্তিমূলক ধারাবাহিকের কদর বরাবরই রয়েছে। আর বাংলা ধারাবাহিকের দুনিয়ায় আমরা সেইরকম আধ্যাত্মিক ধারাবাহিক অনেকবার দেখেছি। যেমন সাধক বামাক্ষ্যাপা থেকে শুরু করে রামপ্রসাদ। আর বাঙালি সাধকের চরিত্রে প্রযোজক, পরিচালকদের পছন্দের তালিকায় সবার প্রথমেই থাকেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)

দারুন অভিনয় ক্ষমতায় তিনি মুগ্ধ করেছেন বারবার বাঙালিকে। পর্দায় তার আকুতি, তার কষ্ট দেখে চোখে জল চলে এসেছে দর্শকদের। আর পর্দার মানুষটার মতোই বাস্তবের মানুষটাও ভীষণ রকমের নিখুঁত। যার মধ্যে নেই কোন‌ও ছল-চাতুরি। মানুষটি ভীষণ খাঁটি। তিনি যেমন সুদক্ষ অভিনেতা, তেমনই সুবৃহৎ মনের মানুষ। মাটিতে পা রেখে চলা, নির্ভেজাল এই মানুষটিকে এক কথায় ‘খাঁটি রত্ন’ বলে জানে টলিউড ইন্ডাস্ট্রি।

Sabyasachi Aindrila

২০২২ সালে জীবনের সবথেকে বড় ধাক্কাটি পেয়েছেন সব্যসাচী।‌ হারিয়ে ফেলেছেন তার জীবনের সবথেকে বড় শক্তি তার অনুপ্রেরণাকে। প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা শর্মাকে হারিয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনের এই বিরাট বড় ধাক্কা তাকে এক লহমায় অনেকটাই শান্ত করে দিয়ে গেছে। মারণ রোগ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে দারুণভাবে লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু পারেননি। সব্যসাচীর জীবনের অন্যতম বড় চালিকা শক্তি ছিলেন তিনি।

অভিনয়ের পাশাপাশি গান বই লেখা সবেতেই দারুন পারদর্শী সব্যসাচী। আর তাকে প্রতিটা মুহূর্তে উৎসাহ জোগাতেন ঐন্দ্রিলা। অভিনেত্রীর মৃত্যু পরবর্তী লেখালিখি একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছিলেন সব্যসাচী। তবে এবার নতুন বছরে নতুন শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। জানা গেছে, এই বছর বইমেলায় অভিনেতার বই বেরোচ্ছে। নাম ‘পরাশরের ডায়েরি’। আদিভৌতিক ও অলৌকিক বিষয় এই বইয়ের প্রধান উপজীব্য। মোট তিনটি গল্প রয়েছে এই বইয়ে। ‘কড়াঝোড়ার শ্মশানে’, ‘মায়াবেড়ি’ ও ‘জন্ম জলাশয়’।

আরও পড়ুনঃ সম্পত্তি বড় বালাই! মুখার্জি কোম্পানির ভাগ থেকে সড়াতে দেবুকে গু’লি করে মারল উৎসব! জগদ্ধাত্রীতে তুলকালাম

তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও অভিনেতার ব‌ই বেড়িয়েছে বইমেলায়। ঐন্দ্রিলা মৃত্যু পরবর্তী লেখালেখি একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। তবে অভিনেতার এই নতুন সিদ্ধান্তে বেজায় খুশি হয়েছেন তার ভক্ত অনুরাগীরা।সব্যসাচী সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কথা জানাতেই উপচে পড়ে শুভেচ্ছা বার্তা।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।