Tollywood

Pradhan Shooting: নিজের হাতে ১৫ ফিটের বিশাল পাইথনকে তুলে নিলেন সোহম চক্রবর্তী! প্রধানের শুটিংয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা

সম্প্রতি ‘প্রধান’এর (Pradhan) শুটিং শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। ছবিতে জুটি বাঁধছেন দেব (Dev) ও সৌমীতৃষা (Soumitrisha)। পাহাড়ের সেই মনোরম প্রকৃতির সঙ্গে জোর কদমে ছবির শুটিং চলছে। বছরের শেষে আসতে চলেছে এক জোর ধামাকা। বিশেষ করে ছোট পর্দার মিঠাই ওরফে সৌমীতৃষাকে দেখার জন্য অপেক্ষায় সকল দর্শক। দেবের সঙ্গে সৌমীকে কেমন মানাবে, তা নিয়ে দর্শকমহলে চর্চার শেষ নেই।

শুধুই শুটিং নয়। ডুয়ার্সের ভয়ানক জঙ্গলে নানান অভিজ্ঞতা হচ্ছে তারকাদের। সাথে মিলছে নানান হিংস্র বন্য প্রাণীর দর্শন। সে নিয়ে আগেই ‘প্রধান’ অভিনীত তারকারা নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। গভীর জঙ্গলের সামনেই চলছে শুটিং। মনে রয়েছে দারুন ভয়, তবে অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গে শুটিং বেশ জমে গিয়েছে। একদিকে চলছে জমজমাট শুটিং, অন্যদিকে জঙ্গলের নানান অভিজ্ঞতা।

ডুয়ার্সে তারকাদের রিসোর্টের সামনে পাইথন উদ্ধার করল সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty)। দেবের সঙ্গে পুলিশ অফিসার বেশে এক গুরুত্বপূর্ণ রোলে রয়েছেন তিনি। আর এই নায়কের হাতেই ধরা পড়ল ১৫ ফিট লম্বা এক বিশাল পাইথন (Python)। শুটিং’এর জন্য একটি বেসরকারি রিসোর্টে উঠেছেন তাঁরা। আর সেই রিসোর্টের পাশ থেকেই উদ্ধার হল এই বিশাল পাইথন। যা দেখে বেশ ভয় পেয়ে যায় সকলেই।

সোহম তাঁর সাহসিকতার জোরে সেই বিশাল পাইথন নিজের হাতে তুলে নিল। এমন অভিজ্ঞতা খুব কম মানুষেরই হয়। সোহম তখন রিসোর্টে। এমনসময় হৈচৈ শুরু হয়। একজন দেখতে পান এই বিশাল পাইথনকে। সঙ্গে সঙ্গে ডাকা হয় বন দফতরকে। সেখান থেকে লোক এসে সেই বিশাল পাইথনের উদ্ধার কাজ শুরু করে। আর তখনই রিসোর্ট থেকে বেরিয়ে তাদের সঙ্গে হাত লাগায় সোহমও। আর সেই ছবি ক্যামেরা বন্দি করে সেখানে কিছু বাসিন্দা।

ছবির প্রয়োজনেই পাহাড়ি জায়গা বেছে নিয়েছেন পরিচালক অভিজিৎ সেন (Abhijit Sen)। এই সিনেমায় সৌমীতৃষা ও দেব ছাড়াও থাকছেন তাবড় তাবড় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। সাথে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে থাকছেন পরান বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবিতে দেবের বউ হিসাবে ধরা পড়বেন সৌমী। সৌমী এই ছবির জন্য যতই নিজেকে নতুন করে গড়ে তুলুক না কেন, মিঠাইকে যেন কেউই ভুলতে পারছেন না। আর তাই মিঠাইকে ছাড়িয়ে আবার নতুন পরিচয়ে নিজেকে পরিচিত করা, সৌমীর কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।