প্রত্যেক বছর উত্তম কুমারের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে মহানায়ক সম্মান প্রদান করা হয় রাজ্য সরকারের তরফে। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হয় নি। আসলে এই বছর যাঁরা এই সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন তাদের নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। শ্রাবন্তী, শুভশ্রী, সায়ন্তিকা, অঙ্কুশের মতো অভিনেতাদের এই সম্মান দেওয়ায় বেজায় কটাক্ষের শিকার যেমন হতে হয়েছে তারকাদের, তেমনই কটাক্ষবিদ্ধ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই যেমন অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা (Ankush Hazra)। আবেগাপ্লুত হয়ে অভিনেতা সোশ্যাল মিডিয়া এটা নিয়ে পোস্ট করতেই সোশ্যাল মিডিয়া তাকে ট্রোল করতে ছাড়েনি। বর্ধমানের বিষ মালকে (অভিনেতার নিজের নিজেকে দেওয়া নাম) রীতিমতো তীব্র কটাক্ষে বিঁধেছেন নেটিজেনরা।
এই পুরস্কার গ্রহণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেতা লেখেন, ‘পুরস্কার আমাকে সব সময় অনুপ্রেরণা যোগায়। আর তাই গ্রহণ করলাম। এই পুরস্কারের জন্য নিজেকে যোগ্য করে তুলতে আমাকে আরও অনেক পরিশ্রম করতে হবে। আমার মতো একজন সামান্য মাপের নায়ককে এই মহানায়ক সম্মান দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। নজরের সামনে সাজিয়ে রেখে দেবো যাতে চোখে পড়লেই নিজেকে বলি ভাগ্যবান দয়া করে ভগবান বানিয়েছেন। যোগ্যতা পরিশ্রম করে নিজে অর্জন করো।’
আর অভিনেতার এই পুরস্কার প্রাপ্তির পরেই ভাইরাল হয়েছে তার পুরোনো একটি ভিডিও। যেখানে অভিনেতা একটি বিরাট বড় ঢপ মেরে ছিলেন বলেই মত নেটিজেনদের। আসলে একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা অঙ্কুশের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিনেতা বলেন তার স্কুলিং বর্ধমান থেকে। এরপর তিনি বিবিএ পড়তে ভর্তি হন। তারপর ইঞ্জিনিয়ারিংও করেন।
আরও পড়ুন: ফুলশয্যা কাণ্ডের পর জবরদস্তি শিমুলের সঙ্গে শা’রীরিক সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা স্বামীর! ‘নাম বদলে রাখুক কার কাছে কই নষ্টামির কথা’, রেগে বলল দর্শক
উল্লেখ্য, এরপরই তিনি মুখ ফসকে বলে বসেন যে তিনি AIEEE বা জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় একশো ব়্যাঙ্ক পেয়েছিলেন। তার এই মন্তব্য শুনে কার্যত ছিটকে গিয়েছিলেন নেটিজেনরা। বলেন কী! যদিও সাদা মনে কাদা না রেখে অভিনেতা বলেছিলেন ভালো র্যাঙ্ক করেও তিনি কলকাতার কলেজে চান্স পাননি। বরং পেয়েছিলেন দূর্গাপুরে। কিন্তু তিনি কিছু করতে চেয়েছিলেন কলকাতায়। আর তাই চলে আসেন।আর নিজেকে নিয়ে অঙ্কুশের গাল ফোলা এই ঢপ ফের ভাইরাল হয়েছে।