জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

জিনিসপত্র বা উপহার কতটা বহুমূল্য সেই দেখে ভালোবাসা হয় না! অকপট অপরাজিতা

বাংলা টেলিভিশন জগতের নির্মাতারা ধারাবাহিকের দ্রুত পরিবর্তনে অভ্যস্ত। একটি গল্প শেষ হওয়ার আগেই নতুন গল্প শুরু করে দর্শকদের আকৃষ্ট করতে সচেষ্ট। এই প্রক্রিয়া বিনোদনের ধারা অব্যাহত রাখে, তবে অনেক সময় গল্পের গভীরতা ও মান কমে যায়। তা সত্ত্বেও, দর্শকের আগ্রহ ধরে রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ।

শীঘ্রই স্টার জলসার পর্দায় আসতে চলেছে নতুন ধারাবাহিক ‘চিরসখা’। এটি এক মর্মস্পর্শী প্রেমের গল্পের আবেগময় যাত্রা তুলে ধরবে। ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকদের প্রোমো সামনে আসায় দর্শকদের মধ্যে উচ্ছাস দেখা গেছে। আকর্ষণীয় গল্প, শক্তিশালী অভিনয় এবং নান্দনিক চিত্রায়ণে ভরা এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের মন ছুঁয়ে যাবে। শৈল্পিকভাবে নির্মিত এই ধারাবাহিকটি পারিবারিক সম্পর্ক, বন্ধুত্ব এবং আত্মত্যাগের নানা দিকও তুলে ধরবে।

aparajita ghosh das

এই ধারাবাহিকটি লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রযোজনা সংস্থা ‘ম্যাজিক মোমেন্টস’ দ্বারা প্রযোজিত, যেখানে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন অপরাজিতা ঘোষ দাস এবং সুদীপ মুখোপাধ্যায়। এই অন্য ধরনের গল্প চিরসখা আসতে চলেছে দর্শকের সামনে, আমরা অনেক সময় অনেক সম্পর্ককে কোনরকম নাম দিতে পারি না। তেমনি একটি সম্পর্ক নিয়ে এই ধারাবাহিকটি তৈরি।

এদিন একটি সাক্ষাৎকারে খোলামেলা আড্ডায় ছিলেন অপরাজিতা। নতুন ধারাবাহিক সম্পর্কে অনেক অভিজ্ঞতা ভাগ্য করে নিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন এই ধারাবাহিকে তার চরিত্রের নাম হয়েছে কমলিনী। যার জীবনটাই তার শ্বশুরবাড়ি, শাশুড়ি, সংসার ও তিন ছেলেমেয়ে নিয়েই আবর্তিত। তার স্বামী মারা যাবার পর অনেক কঠিন লড়াই করতে হয়েছে তাকে তার তিন ছেলে মেয়েকে মানুষ করার জন্য। তবু হাসিমুখে সবকিছু মেনে নিয়ে সে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে সংসারের নামে।

এদিন সম্পর্ক নিজের মতামত দিতে গিয়ে অপরাজিতা বলেন, “আমি এরকমই সম্পর্কে বিশ্বাস করি যেখানে ম্যাটারিয়ালিস্টিক কিছু থাকবে না এবং আমার মনে হয় এই সম্পর্কে বিশ্বাস করে আছি বলেই ভালো আছি”। ব্যক্তিগতভাবে অপরাজিতা এবং কমলিনী মধ্যে মিল আছে যে তারা দুজনই সম্পর্ককে সঠিক মূল্য দিতে জানে। রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও জীবনে চলার পথে এমন কিছু সম্পর্ক হয় যা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং তাঁদের উপেক্ষা করা ঠিক নয় বলেই জানান অপরাজিতা। তবে এবার দেখার পালা তারই নতুন ধারাবাহিক দর্শকদের মনে কতটা জায়গা করে নেয়।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।