জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“এই সাহস দেবেরই ছিল! আমিই উল্টে বলতাম, তোর সঙ্গে ছবি করব?” “আমার কাছে ইন্ডাস্ট্রিটা এখনও স্বপ্নের জায়গা, রাজনীতির স্থান নেই!”— রাজনৈতিক সংঘর্ষ নয়, শিল্পের টানে ফিরলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়! রাজনৈতিক বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে বড়পর্দায় এক হলেন দেব-রূপা!

ডাকাতের মা হয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন ‘রূপা গঙ্গোপাধ্যায়’ (Rupa Ganguly)দেব (Dev) প্রযোজিত এবং অভিনীত আসন্ন ছবি ‘রঘু ডাকাত’-এ (Raghu Dakat) একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রীকে। রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও অভিনয়কে ভুলে যাননি রূপা। দীর্ঘদিন পর ক্যামেরার সামনে ফিরে বারবার বুঝিয়ে দিলেন, একবার শিল্পী মানেই সবসময় শিল্পী। তবে এই প্রজেক্টে তাঁর অংশগ্রহণ শুধুই অভিনয়ের টানে নয়—ব্যক্তিগত আস্থার জায়গা থেকেও উঠে এসেছে।

অনেকেই মনে করেন, রাজনৈতিকভাবে দুই বিপরীত মেরুর মানুষ দেব এবং রূপা একসঙ্গে কাজ করছেন হয়তো রাজনৈতিক বার্তার জন্যই। কিন্তু রূপা স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, আন্দোলনের মঞ্চে এক হওয়া এবং ছবিতে একসঙ্গে কাজ করাটা সম্পূর্ণ আলাদা ঘটনা। তাঁর কথায়, দেব বরাবরই তাঁকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন, কিন্তু ব্যস্ততা ও রাজনৈতিক বিভেদের জন্য তিনি রাজি হননি। তবে এবার দেব এতটাই সরাসরি ও আবেগ নিয়ে অনুরোধ করেন যে আর না বলার উপায় ছিল না।

চরিত্রটি বড় না হলেও গুরুত্বপূর্ণ, এমনটাই বিশ্বাস রূপার। শুটিংয়ের জন্য দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হয়নি, তবু প্রযোজনা সংস্থার তরফে প্রতিটি ছোটখাটো বিষয়েও যত্নের কমতি ছিল না। রূপা জানিয়েছেন, আলাদা ভ্যানিটি ভ্যান থেকে শুরু করে একজন ব্যক্তিগত সহকারী সবই তাঁদের তরফেই নির্দ্বিধায় দেওয়া হয়েছিল। এত বছর পর ফের কাজ করতে এসে যে পরিমাণ সহযোগিতা পেয়েছেন, তাতে তিনি অভিভূত। তাঁর কথায়, এই সব কিছু সম্ভব হয়েছে একমাত্র দেবের আন্তরিক উদ্যোগে।

রাজনৈতিক আলাপচারিতা থেকে দূরে থেকে শুধুই পেশাদার পরিবেশে কাজ করেছেন তাঁরা। রূপার মতে, শ্যুটিং সেটে ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের শিল্পীরা একসঙ্গে থাকলে রাজনীতির আলোচনা এড়িয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। সেই রাস্তাই তাঁরা বেছে নিয়েছেন। বরং দেবের মতো নতুন প্রজন্মের অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে পেশাদারিত্বে কোনও কমতি দেখেননি তিনি। বরং নতুনরা কতটা প্রস্তুত এবং সিস্টেমেটিকভাবে কাজ করেন, তাতেই মুগ্ধ হয়েছেন।

শেষে রূপা বলেন, তিনি এখনও ইন্ডাস্ট্রিকে স্বপ্নের জায়গা হিসেবে দেখেন—যেখানে রাজনীতির কোনও স্থান নেই। প্রযোজক ও নির্মাতারা সাহস দেখালে তিনি অভিনয়ে ফেরার সুযোগ নিতে প্রস্তুত। কিন্তু সেই সাহস দেখানোর উদাহরণ আজ আর সহজে দেখা যায় না। ঋতুপর্ণ ঘোষের মতো নির্মাতারা আর নেই—যাঁরা শিল্পীর মধ্যে চরিত্র খুঁজে নিতে পারতেন। তাই তিনি দোষারোপ করতে চান না, শুধু চান সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করুক, সৎ থাকুক এবং সিনেমার প্রতি প্রেমটুকু বজায় রাখুক।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।