বর্তমান সময়ে যেখানে বিয়ের মধ্যে কোনও স্থিতিশীলতা নেই। সেখানে একসঙ্গে এনারা কাটিয়ে দিয়েছেন ৪৭ বছর। সুখ দুঃখ, ভালো মন্দ সবটাই তারা দেখেছেন একসঙ্গে। যাদের কাছে ভালোবাসার জন্য আলাদা দিন লাগে না, সারাজীবন ঝগড়া আর ভালোবাসার পরিপূর্ন তাদের জীবন। ভালোবাসার প্রকৃত অর্থ যারা সেখান বর্তমান প্রজন্মকে, আমরা কথা বলছে বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায় এবং রুমকি চট্টোপাধ্যায়ের। বিনোদন জগতে অত্যন্ত পরিচিত মুখ এই দুইজন তারকা।
অভিনেতা ফাল্গুনী চ্যাটার্জীকে আমরা দেখেছি কাহিনী, লুটেরা, তিন সহ ব্যোমকেশ বক্সী, মহানায়িকা, ডিকশনারি, গ্রহণ, অপরাজেয়, তিন কন্যে, অলীক সুখ, ফেলুদা সহ একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি তার অভিনয় জিতে নিয়েছে সকলের মন। অপরদিকে অভিনয় জগতেও পরিচিত মুখ রুমকি চট্টোপাধ্যায়ের। বোঝেনা সে বোঝেনা, এক আকাশের নিচে, গোয়েন্দা গিন্নি, রিষ, কেয়ার করি না, রামধনু, সাথী সহ একাধিক সিনেমা এবং ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি।
সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার বর্তমান প্রজন্ম, জীবনের নানা সুখ দুঃখের কাহিনী জানিয়েছেন তারা। অভিনেত্রী রুমকি জানিয়েছেন “আমাদের জীবন ঝগড়ায় কাটছে, এই বয়সে এসে সেটাই ভালোবাসার আসল জীবন।” অভিনেতা ফাল্গুনী জানিয়েছেন “এই ঘরে এত লোকজন রয়েছে সবার সঙ্গেই ভালো ব্যবহার করি কিন্তু একজনের সঙ্গেই ঝগড়া হয় কারণ তার সঙ্গে ঝগড়ার অধিকার আছে এমনকি এই দুনিয়ায় যা হয় এখন সব দোষ আমারই হয়।”
অভিনেত্রী রুমকি তার স্বামীর প্রতিক্রিয়ায় বলেন “হ্যাঁ আসলে বলতে ভালো লাগে, এখন আর লোকের কথা শুনার অত সময় কথায় তবে একজন বাধ্য মানুষ যে কথা শুনবে সেটা দরকার। কিছু বললে বলি আমার বাবা মা অনেক খরচ করে বিয়ে দিয়েছিল এটা আমার অধিকার।” সাংবাদিক অভিনেত্রী রুমকি চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করেন যে আমাদের সমাজে হয়তো অনেকেই এখনও মনে করে যে ভালোবাসার একটা সপ্তাহ হয়না তবে আমাদের মধ্যে সেই শব্দহীন ভালোবাসাটা মনে যাচ্ছে এই বিষয়ে আপনি কি বলবেন?
অভিনেত্রী জানান “আমি এখনকার দিনের ছেলে মেয়েদের দোষ দিইনা আসলে আমরা যেভাবে বড় হয়েছে, সমাজ, পরিবেশ সবটাই এখন বদলেছে। এখন মানুষের মধ্যে ব্যক্তিস্বতন্ত্র্য বোধটা বেশি হয়ে গেছে সেটা বলছি না খারাপ, তবে আমাদের সময় আমরা ভাবতাম এটাই আমার জায়গা এখানে থেকেই আমি আমার কথা বলব কিন্তু এখন সেই সহিষ্ণুতাটা কমে যাচ্ছে। ওই সুতোটাই আলগা হয়ে যাচ্ছে। ঝগড়া কি করব না, করব তবে এখন বোঝাপড়াটা কমে যাচ্ছে। হয়তো ব্যস্ততার জন্যই কিন্তু হচ্ছে।”
এখন সবাই নিজেকে নিয়ে বেশি ব্যস্ত সেটা নিয়ে সেটা কি হয় অভিনেতা ফাল্গুনী চ্যাটার্জী জানিয়েছেন “হয়, আমি সারাদিনের মধ্যে শুধু স্ত্রী নয়, ছেলের সঙ্গে কথা না হলেও হয় তবে আমি জানি সে কাজের মানুষ। সেটা শুধু দরকারি নয় এমনিও। কথা কখনও ফুরোয় না বরং কথা নিত্যনতুন জন্মায়। কথা তো বলতেই হবে কথা তো একটা বড় মাধ্যম।”
আরো পড়ুন: গায়ে জ্বালা ধরানো তুখোড় অভিনয়, দর্শকদের প্রশংসা সত্ত্বেও সেরা নতুন সদস্যের পুরস্কার টুকুও জুটল না পরাগের! বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দর্শকরা
কে বেশি কথা বলে অভিনেত্রী জানান “আমি বেশি বলি, উনি শোনেন। আসলে উনিও জানান আমার বলার একটাই জায়গা আছে।” ৫০ বছরে কোনও বড় অনুষ্ঠান হবে কিনা? তারা জানিয়েছেন “এসব ছেলে জানে এখন তো কিছু বলা যায়না বয়স বাড়ছে তবে যদি থাকি ছেলে যা করার করবে।” তাদের এইভাবে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এটাই কামনা করব।