Tollywood

Jeetu-Nabanita: জিতুর সঙ্গে বিচ্ছেদের মাঝেই মাথাভর্তি সিঁদুর, ফুলশয্যার খাটে বসে নবনীতা! বিয়ের নতুন ইনিংস

একসঙ্গে কাজের সূত্রে প্রেম আর সেখান থেকে বিয়ে আর সেই দাম্পত্য জীবনে ভাঙনের কারণে এখন চর্চায় বাংলা ধারাবাহিকের দুনিয়ায় অন্যতম পরিচিত নাম অভিনেতা জিতু কমল (Jeetu Kamal) ও অভিনেত্রী নবনীতা দাস (Nabanita Das) । একপ্রকার এই দুজনের বিবাহিত জীবন কিন্তু দারুণ সুখের ছিল। বলা বাহুল্য সোশ্যাল মাধ্যমে এই সুখী দম্পতির ছবি ধরা পড়েছে বেশ কয়েকবার।

এই দুজনের বিবাহিত জীবনের বয়স হচ্ছে মাত্র চারবছর। কিন্তু তার মধ্যেই ভাঙন ধরেছে সম্পর্কে। ধারাবাহিকের গণ্ডি পেরিয়ে জিতু পা রেখেছিলেন সিনেমা দুনিয়ায়। নবনীতা চুটিয়ে অভিনয় করছেন। বয়সের পার্থক্যকে দূরে সরিয়ে রেখে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে পড়েন এই দুই তারকা। কিন্তু চার বছরের বিবাহিত জীবনে ইতি টেনেছেন এই জুটি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের দাম্পত্য জীবন শেষ করে দেওয়ার ঘোষনা করেন নবনীতা। কিন্তু বিষয়টাকে গোপন রাখতে চেয়েছিলেন জিতু। এমনকী জিতু-নবনীতার সম্পর্ক বিচ্ছেদের খবর শুনে রীতিমতো আঁতকে ওঠে নেটপাড়া। এই বিচ্ছেদের কারণ প্রসঙ্গে নবনীতা জানিয়েছিলেন, জিতু নাকি তার কাজ নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে তিনি নিজের স্ত্রীকে একেবারেই সময় দিতে পারেন না। এমনকি ইগোর সমস্যা‌ও তাদের মধ্যে বিরাট বড় সমস্যা হয় দাঁড়িয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জানা গেছে, প্রথম বিয়ে ভাঙার আগে থেকেই নাকি স্নেহাল অধিকারী নামক এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন নবনীতা। এমনকি সেই রকম ইঙ্গিত‌ও দিয়েছেন জিতু। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুলশয্যার ছবি শেয়ার করেছেন নবনীতা। মাথা ভর্তি সিঁদুর, মুখে ভরা হাসি, ভারী গয়না, আর খাট সাজানো গোলাপের পাপড়ি আর রজনীগন্ধায়। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নবনীতা লিখেছেন, “জীবন নিখুঁত নয়, কিন্তু আমার শাড়ি প্লিট সুন্দর”।

আসলে এই মুহূর্তে ‘বিয়ের ফুল’ নামক এক ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী। ওই ধারাবাহিকেই এখন চলছে বিয়ের ট্র্যাক। আর সেই মুহূর্তের‌ই একটি ছবি ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। এই ধারাবাহিকে অভিনেতা রাজা গোস্বামীর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়ছেন তিনি। যে ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন নবনীতা, সেগুলি ওই বিয়ের ফুল ধারাবাহিকেরই।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Nabanita❤ (@nabanita.das)

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।