জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘বাংলায় কথা বলার জন্য যদি ধরে নিয়ে যায়, আমিও প্রস্তুত’— একুশের সভা থেকে হুঙ্কার তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের!

একুশে জুলাই মানেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বড়সড় বার্তা দেওয়ার দিন। প্রতিবছর এই দিন ধর্মতলা চত্বরে সমবেত হন হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক। রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি থাকেন টলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সকালে যখন বহু মানুষ সভাস্থলে পৌঁছানোর তোড়জোড়ে ব্যস্ত, ঠিক তখনই ছাই রঙা শাড়ি পরে, সবুজ ফুলের কাজের ছোঁয়ায় রঙিন হয়ে হাজির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগমনের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি।

বরাবর স্পষ্টবক্তা হিসেবে পরিচিত রচনা। আগে বহুবার তাঁর মন্তব্যে শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তবে তিনি কখনও নিজেকে আটকাননি। এদিনও একুশের মঞ্চে উঠতে যাওয়ার ঠিক আগে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে ফের সাহসী সুরে মুখ খুললেন হুগলির সাংসদ। তাঁর কথায় উঠে এল বাংলা ভাষা এবং বাঙালি পরিচিতির প্রসঙ্গ।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিযায়ী বাঙালি শ্রমিকদের সঙ্গে হওয়া দুর্ব্যবহারের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সে প্রসঙ্গে রচনার কণ্ঠে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, “মাঝেমাঝে এ সব দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলি। আমরা বাঙালি, বাংলা আমার মাতৃভাষা। আমাদের বাংলা থেকে কত মনীষী এই দেশকে গর্বিত করেছেন। এও সম্ভব! একটা মানুষ বাংলায় কথা বলছেন বলে তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে! আমিও বাংলায় কথা বলি! ধরে নিয়ে যান আমাকে। আমি বলব, বাঙালি এর উত্তর দেবে।”

শুধু বাংলা নিয়ে বার্তাই নয়, নিজের সংসদীয় এলাকার মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধও ব্যক্ত করলেন তিনি। তাঁর কথায়, তিনি সবসময় হুগলির সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। এই একুশের জমায়েতে যোগ দিয়েই তিনি নিজের অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করতে চাইলেন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

রচনার এই মন্তব্য রাজনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। যখন গোটা দেশে ‘এক দেশ, এক ভাষা’র বার্তা উঠে আসছে, তখন বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে একজন বাঙালি সাংসদের এই রকম সরব হওয়া নিঃসন্দেহে বার্তা বহন করে। তা রাজনৈতিক হোক বা ব্যক্তিগত আবেগ— একুশের মঞ্চে রচনার এই বক্তব্য যে বহু বাঙালির মনে আলোড়ন ফেলবে, তা বলাই যায়।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।

                 

You cannot copy content of this page