জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘প্রযোজকের স্ত্রী বলেই মেলে বাড়তি সুবিধা?’ শিল্পীর মেধা নাকি প্রযোজকের ‘সুবিধা’, কার জোরে তড়তড়িয়ে এগিয়ে গেলেন রূপসা? গুঞ্জন টলিপাড়ায়! কী বললেন অভিনেত্রী?

টলিপাড়ায় এখন গরম আলোচনা— শেষ হতে চলেছে কি ‘জগদ্ধাত্রী’? তিন বছর ধরে টিআরপি তালিকায় প্রথম সারিতে থাকা জনপ্রিয় এই ধারাবাহিক নাকি এবার পরিসমাপ্তির মুখে। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে শোনা যাচ্ছে, দুর্গার বিয়ের ট্র্যাকই হতে পারে সিরিজের শেষ অধ্যায়। তবে অভিনেত্রী রূপসা চক্রবর্তী কিন্তু জানালেন, এখনও শেষ নয় এই কাহিনি। তাঁর কথায়, “এখনকার দিনে কোনও ধারাবাহিক এত দিন ধরে চলে না। তাই অনেকে ধরে নিয়েছেন শেষ হতে চলেছে। কিন্তু স্নেহাশিসের কলমে এখনও অনেক গল্প বাকি।”

রূপসা চক্রবর্তী এই ধারাবাহিকে কৌশিকী মুখার্জির চরিত্রে অভিনয় করছেন। কিন্তু তাঁর পরিচিতি কেবল অভিনেত্রী হিসেবে নয়— তিনি প্রযোজক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর স্ত্রীও। ফলে একাধিক দায়িত্ব সামলাতে হয় তাঁকে। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রোডাকশনের কাজেও তিনি যুক্ত। এই সংযোগ নিয়েই কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন— ‘প্রযোজকের স্ত্রী’ হওয়ায় কি সেটে রূপসা পান বিশেষ সুবিধা?

অভিনেত্রী নিজেই বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি বললেন। “হ্যাঁ, নিজের প্রোডাকশনে কিছুটা তো সুবিধা হয়। শুটিংয়ে দেরি হলে স্নেহাশিসকে ফোনে বলি তাড়াতাড়ি সিন পাঠাও। শুধু আমি নই, যাঁরা এখানে কাজ করছেন, তাঁরাও অনেক সময় সেই সুবিধা পান,” অকপটে স্বীকার করেন রূপসা। তাঁর এই মন্তব্যেই আরও উস্কে উঠেছে বিতর্ক— শিল্পীর মেধা নাকি প্রযোজকের ‘সুবিধা’, কার জোরে এতটা এগিয়ে রূপসা?

ধারাবাহিকের সেট নাকি এখন রূপসার দ্বিতীয় বাড়ি। ‘জগদ্ধাত্রী’-র পাশাপাশি ‘ব্লুজ’ প্রযোজনার অন্যান্য কাজও তিনি নিজে তদারকি করেন। প্রতিদিনের শুটিং, অভিনেতাদের সময়সূচি থেকে খাবারের আয়োজন— সব কিছু তাঁর নখদর্পণে। রূপসা জানান, “আমরা সবাই এখানে ভীষণ ফুডি। একসঙ্গে খাওয়া-আড্ডা না হলে কাজের মজা থাকে না। আমার বিরিয়ানি সবচেয়ে প্রিয়।”

অভিনয়ের পাশাপাশি সমাজমাধ্যমেও এখন রূপসা বেশ সক্রিয়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচারেও দেখা যায় তাঁকে। অনেকেই বলছেন, রূপসার জনপ্রিয়তা এখন শুধু টেলিভিশনে সীমাবদ্ধ নয়— তিনি আস্তে আস্তে হয়ে উঠছেন নতুন প্রজন্মের এক প্রভাবশালী মুখ। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যায়— তাঁর সাফল্যের পেছনে আসল কারণ কী? মেধা, নাকি প্রযোজকের ছত্রছায়া?

Piya Chanda