Connect with us

    Tollywood

    Sanchita Bhattacharya: ক্যামেরার পিছনে রিয়েলিটি শোয়ে কী চলে? কাজ থাকলেও নেই পরিচিতি! বিস্ফোরক ‘সারেগামাপা’ বিজয়ী সঞ্চিতা ভট্টাচার্য

    Published

    on

    sanchita bhattacharya

    সাল ২০০৬, জি বাংলার (Zee Bangla) সারেগামাপা (Sa Re Ga Ma Pa) লিটল চ্য়াম্পসে অংশগ্রহণ করেছিলেন গায়িকা সঞ্চিতা ভট্টাচার্য (Sanchita Bhattacharya)। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৪। এত কাঁচা বয়সেই তাঁর পরিণত গায়কি দিয়ে বিচারকদের মন জয় করেছিলেন শিবপুরের মেয়েটি। ২০১৮ থেকে তিনি জি বাংলার সারেগামাপা’এর জুরি জার্জের জায়গায় বসেন। যেসময় তিনি একজন অংশগ্রহকারী হিসাবে সারেগামাপা’তে গিয়েছিলেন সেই রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারকের আসনে ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী (Bappi Lahiri), অলকা ইয়াগনিক (Alka Yagnik ) এবং অভিজিৎ ভট্টাচার্য (Abhijit Bhattacharya)

    তিন বিচারকই ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন সঞ্চিতার। এমনকী রিয়্য়ালিটি শো (Reality Show) চলাকালীনই অলকার থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন বাংলার মধ্যবিত্ত বাড়ির এই মেয়ে। প্রতিযোগীতার একেবারে চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছেছিলেন সঞ্চিতা। সাথে গ্র্য়ান্ড ফিনালের মঞ্চেও ঝড় তুলেছিল তাঁর গান। আর তারপরই সা রে গা মা পা লিটল চ্য়াম্পস-এর বিজয়ীর শিরোপা ওঠে তাঁর মাথায়। এমনকি স্বয়ং শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) পুরস্কার তুলে দিয়েছিলেন সঞ্চিতার হাতে।

    তারপরই প্লে ব্যাক গায়িকা হিসেবে সঞ্চিতার পথ চলা শুরু। কেরিয়ারের শুরুর দিকে ‘ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা’, ‘কাঞ্চি: দ্য আনব্রেকবল’-এর মতো বলিউড ছবিতে গানের সুযোগ আসে তাঁর কাছে। এমনকি সুখউইন্দর সিং, শঙ্কর মহাদেবানের মতো গায়কদের সঙ্গেও গান করেন সঞ্চিতা।তবে সময় যত এগিয়েছে, ততই যেন সঞ্চিতার জনপ্রিয়তা ফিকে হতে থাকে। যদিও এর পরেও বেশ কিছু ছবিতে গান গেয়েছেন তিনি। তবে তাঁর কোনও গানই শ্রোতা-মনে বিশেষ ছাপ ফেলতে পারেনি।

    tollytales whatsapp channel

    কয়েক বছর আগেই বিয়ে করেছেন সঞ্চিতা। গায়িকা এবং তাঁর স্বামী, দু’জনেই বড় খাদ্যরসিক। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এ এসে গায়িকা নিজেই জানিয়েছিলেন সে কথা। বর্তমানে নানা স্টেজ শো করেন তিনি। সম্প্রতি সঞ্চিতা আর্চির গ্যালারিতে একটি গান করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে সা রে গা মা পা’র মতো রিয়েলিটি শোগুলোর বর্তমান অবস্থাকে তুলে ধরলেন সঞ্চিতা। তিনি বলেন, একটা সময় সকল গায়কের অরজিনাল পারফামেন্সটি টিভির পর্দায় তুলে ধরা হত। কিন্তু বর্তমানে তা হয় না। কেউ কিছু গানে ভুল করলে সেটা দর্শকরা আর জানতে পারে না।

    রিয়েলিটি শোগুলোতে বিজয়ী হলেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আবার নতুন করে লড়াই শুরু করতে হয়। এমনকি মাঝে মাঝে বিচারকদের এটাও বলে দেওয়া হয়, উক্ত প্রতিযোগীকে স্মাইলি দিতে। তাছাড়াও সোর্সের দ্বারাও কিছুটা এগিয়ে যাওয়া যায়। তাই পর্দায় আমরা যেরূপ দেখতে পাই, ঠিক সেরূপ ঘটে না রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে। সঞ্চিতার কাছে ভাগ্য খুব বেশি প্রয়োজন, আর সেই ভাগ্যটাই সায় দেয়নি গায়িকার। কাজ বন্ধ না থাকলেও তাই সেরূপ পরিচিতি পাননি তিনি। অনেকেই তেল দিয়ে নিজেকে এগোনোর চেষ্টা করে, কিন্তু সঞ্চিতা তার মধ্যে নেই।