Tollywood
Silajit Majumder: ‘তুই কে বে আমায় ঢোকাবি?’ মেজাজ সপ্তমে, সোজা ‘তুই-তোকারি’ করে বসলেন গায়ক শিলাজিৎ

তিনি গায়ক-অভিনেতা শিলাজিৎ মজুমদার। আদতে বীরভূমের এক গ্রামের ছেলে শিলাজিৎ মজুমদার খ্যাতি পান এই কলকাতা শহরে এসে। নিজের প্রতিভা এবং অদম্য ইচ্ছে শক্তির জেরে তিনি আজ পরিচিত নাম বাঙালি ঘরে ঘরে। শিল্পী হওয়ার পাশাপাশি চারিত্রিকভাবে অসম্ভব প্রতিবাদী এই গায়ক-অভিনেতা।
আর একজন শিল্পী হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। আসলে শিল্পীরা তো নিজেদের কাজের স্বীকৃতি পেয়েই থাকেন। বহুদিন যাবৎই এই কথার প্রচলন রয়েছে।শিল্পীর কাজের ভিত্তিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে। আর এরকমই এক শোতে আমন্ত্রিত ছিলেন গায়ক-অভিনেতা শিলাজিৎ। জানেন সেখানে কি হয়?
সেখানে গিয়ে রীতিমতো অসম্মানিত হতে হয়েছিল বাংলার এই জনপ্রিয় গায়ক অভিনেতাকে। নিজের অতীত ঘেঁটে সেই ঘটনা ভাগ করে নিলেন শিল্পী। একবার তাঁকে অত্যন্ত সম্মানজনক ও জনপ্রিয় একটি অ্যাওয়ার্ড শোতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁকে দেওয়া হয় ভিভিআইপি পাসও। যথারীতি নির্দিষ্ট দিনের নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হন গায়ক।
আর যেই মাত্র তিনি ভিভিআইপি গেট দিয়ে ঢুকতে যাবেন তক্ষুনি বাধা। মুম্বইয়ের এক শিল্পীর আগমনের জন্য শিলাজিতকে ঢুকতে দেননি ওই নিরাপত্তারক্ষী। একজন তারকা হয়ে এই ঘটনায় রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়ে ওই পাস নিরাপত্তারক্ষীর হাতে ধরিয়ে দিয়ে শিলাজিৎ বাড়ি ফেরার আসতে উদ্যত হন। আর বেরোনোর ঠিক মুহূর্তে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় ওই অনুষ্ঠানটির এক আয়োজকের সঙ্গে। শিলাজিত জানিয়েছেন, আমাকে বাড়ি চলে আসতে দেখে এক সংগঠক এগিয়ে আসে। আমাকে জিজ্ঞাসা করে তুমি কেন বাড়ি চলে যাচ্ছ। তুমি তো পুরস্কার পাবে। আমি জানাই যে আমায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সে আমাকে বলে, ‘আমি তোমাকে ঢোকাচ্ছি’।
আর ব্যাস এই কথাতেই মাথা গরম হয়ে যায় গায়কের। ওই সংগঠকের উদ্দেশ্যে তিনি চেঁচিয়ে বলেন, ‘তুই কে বে যে আমাকে ঢোকাবি, আমি আমার নিজের যোগ্যতায় ঢুকব। আমি এখানে নমিনি। এমন অ্যাওয়ার্ড পেয়ে লাভ কী? মুম্বইয়ের শিল্পী এসেছে বলে বাংলার শিল্পীকে আটকে দিবি।’ চিরটাকালই এইরকম প্রতিবাদী স্বভাবে এই গায়ক অভিনেতা। অপমানের জবাব তিনি ফিরিয়ে দিতে জানেন।
