অনেকদিন আগেই বিচ্ছেদ হয়েছে অভিনেত্রী ‘তিয়াসা লেপচা’র (Tiyasha Lepcha), স্বামী ‘সুবান রায়’ (Suban Roy) এর সঙ্গে। এরপরেই জীবনে এসেছে এক নতুন অধ্যায়। একদিকে অতীতের স্মৃতি, অন্যদিকে নতুন প্রেমের রঙিন ছায়া—এই দুইয়ের টানাপোড়েনেই কাটছে তাঁর দিন। কখনও ভালোলাগা, আবার কখনও নিঃশব্দে বিচ্ছেদের যন্ত্রণা—এরই মাঝে কেটে গিয়েছে প্রায় তিন বছর। তিয়াসার জীবনে এখন রয়েছেন ‘সোহেল দত্ত’ (Sohail Dutta)। সুবানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হওয়ার পরে, বেশ কিছুদিন পরেই সোহেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিয়াসা।
সূত্রপাত হয়েছিল জিমে দেখা হওয়ার পর থেকেই। প্রথম দেখাতেই ভাল লাগা, আর সেখান থেকেই জন্ম নেয় নতুন এক সম্পর্ক। যদিও এই সম্পর্কও চিরকাল স্থায়ী ছিল না। একসময় পারিপার্শ্বিক চাপের কারণে বিচ্ছেদ ঘটে তাঁদের মধ্যে, প্রায় এগারো মাস বন্ধ ছিল যোগাযোগ। তবে ভাগ্য যেন আবার এক সুতোয় বেঁধে দেয় দু’জনকে। আর এই দীর্ঘ সময়ের পথচলায় মাঝেমধ্যে শোনা গিয়েছে তাঁদের বিয়ে পর্যন্ত গড়াতে চলেছে সম্পর্ক! কিন্তু যতটা ঘটেছে, তার চেয়েও বেশি কি রটছে?
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে সোহেল দত্ত তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, বিয়ের কোনও পরিকল্পনা তাঁদের নেই। দু’জনেই বর্তমানে কেরিয়ারের প্রাথমিক ধাপে রয়েছেন, হাতে রয়েছে অনেক কাজ, অনেক স্বপ্ন। ব্যস্ততার কারণে একে অপরের সঙ্গে দেখা করাই হয় না নিয়মিত। তাই এখনই বৈবাহিক সম্পর্কে জড়ানো তাঁদের পক্ষে বাস্তব নয় বলেই মত সোহেলের। এই সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে কিছু জল্পনার কথাও!
যেমন, তিয়াসা নাকি সোহেলের মাকে পছন্দ করেন না, কিংবা তাঁদের বয়সে বড় ফারাক রয়েছে। এসব প্রসঙ্গে সোহেল জানান, তিয়াসা তাঁর সমবয়সী এবং সম্পর্কের বিষয়ে বাইরের কারোর কোনও মন্তব্যে তাঁদের মত বদলায় না। বরং তারা একে অপরকে বোঝে, সময় দেয়, এবং সম্পর্কটিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তিয়াসার অতীত সম্পর্ক নিয়েও বহু প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই বলেন, সুবানের হাত ধরেই তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন, পরে সাফল্য পেতেই নাকি তাঁকে দূরে সরিয়ে দেন।
আরও পড়ুনঃ ফের দেবী রূপে ফিরছেন ছোট পর্দায় ‘মা ভবতারিণী’ তনুশ্রী ভট্টাচার্য! দেবী হয়ে ওঠা যেন তাঁর নিয়তি, আবারও ঐশ্বরিক চরিত্রে ফিরছেন কোন ধারাবাহিকে?
এই প্রসঙ্গে সোহেল বলেন, “হ্যাঁ, হয়তো তিয়াসা ওর হাত ধরেই এসেছিল, কিন্তু আজ সে নিজে নিজের কৃতিত্বে জায়গা করে নিয়েছে। সুবানের কোনও আলাদা পরিচয় নেই বললেই চলে, ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই ‘তিয়াসার প্রাক্তন’ হিসেবেই চেনে।” তিয়াসার ডিভোর্সকে কেন্দ্র করে সমাজে নানা মন্তব্য উঠে আসে, যা মাঝে মাঝে তাঁর চরিত্রকেই আঘাত করে। কিন্তু সোহেলের মতে, ডিভোর্স কারও ইচ্ছায় হয় না, তার পেছনে থাকে না বলা অনেক কাহিনি। তাই এ নিয়ে কাউকে আলাদা চোখে দেখা উচিৎ নয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।