জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“বিস্কুটের ভাঙা টুকরো খেয়ে কাটিয়েছে দীর্ঘদিন! নিজের কঠিন অভিনয়ের যাত্রা নিয়ে অকপট অভিনেতা দেবমাল্য

বর্তমানে অভিনয় জগতের একটি জনপ্রিয় মুখ অভিনেতা দেবমাল্য গুপ্ত (Debmalya Gupta)। দীর্ঘদিন লড়াইয়ের পর বর্তমানে অভিনয় জগতে নিজের পরিচিতি গড়ে উঠেছেন অভিনেতা। পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে প্রলয়ের নতুন সিরিজে মুখ্য চরিত্রে কাজ করেছেন তিনি। বর্তমানে ফুলকি ধারাবাহিকে পিয়ালের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে অভিনেতা দেবমাল্যকে। ধারাবাহিকে তমালের ভাইয়ের চরিত্রে তার অভিনয় ইতিমধ্যেই মন জয় করে নিয়েছে দর্শকদের।

সম্প্রতি অভিনেতার সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিল একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম। সেখানেই জীবনের নানা অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানিয়েছেন দেবমাল্য। দেব, জিৎ, শাহরুখের সিনেমা দেখেই বড় হয়েছেন তিনি। ছোট থেকেই অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন ছিল চোখ। সেই টানিয়ে জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতায় ছুটে আসেন অভিনেতা। শুরু হয় জীবন সংগ্রাম। কলকাতায় এসেই দেবমাল্য যুক্ত হন থিয়েটারের সঙ্গে।

থিয়েটারের মাধ্যমেই হয়েছিল অভিনয়ের হাতে খড়ি। তবে কলকাতায় এসেই শুরু হয় অর্থাভাব। তবে ছেলের স্বপ্নপূরণ করার জন্য ছেলের পাশে সবসময় ছায়ার মত ছিলেন তার বাবা মা। আঁচ আসতে দেয়নি ছেলের ওপর। মাধ্যমিকের পর পোর্টফলিও বানিয়ে এডিশন দেওয়া শুরু করে দেবমাল্য। কলকাতায় তাকে নিয়ে আসতেন তার বাবা মা। আবার যখন দুজনেই ব্যস্ত থাকতেন তখন অফিসের অন্যান্য কর্মীকে দিয়ে ছেলেকে অডিশন দিতে পাঠাতেন তিনি। তবে চেষ্টা থামাননি কখনও।

ভাঙা পার্লে জি বিস্কুট খেয়ে দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন দেবমাল্য গুপ্ত

অভিনেতা জানিয়েছেন কলকাতায় আসার পর তাদের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। পার্লে জির কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেন অভিনেতার বাবা। ভেঙে পড়ে থাকা বিস্কুটের টুকরো তিনি নিয়ে আসতেন বাড়িতে। সেই খেয়েই কাটত জীবন। অভিনেতা এও জানিয়েছেন তার প্রথম সিনেমা ছিল গড়িয়াহাটের গ্যাংলোর্ডস। যদিও সেই সিনেমটি করে সফলতা পাননি তিনি। তারপর জুনিয়র আর্টিস্টের কাজও করতে হয় দেবমাল্যকে। অভিনেতার মতে, “সেখানে থেকে আমি পেতাম ২৫০টাকা। সেটা আনতেও গিয়ে আমার যেতে আসতেই খরচা হয়ে যেত ১৫০ টাকা। তবুও গেছে কারণ তখন আমার টাকা আর কাজ দুটোরই খুব প্রয়োজন ছিল।”

শুটিংয়ে গিয়ে ডাল ভাত খেয়ে দিন কাটিয়েছেন দেবমাল্য গুপ্ত

অভিনেতার মা চোখে জল নিয়ে জানিয়েছেন “এমনও হয়েছে ও জানিয়েছে সেখানে সারাদিন শুটিং করার পর ও গিয়ে দেখে সমস্ত খাওয়ার শেষ খালি পড়ে আসেন ডাল ভাত সেই খেয়েই কাটিয়েছে ও। এটা একজন মায়ের কাছে কতটা যন্ত্রণার সেটা তারাই জানে।” তবে এরপরই রাজ চক্রবর্তীর হাত ধরে বদলে যায় তার ভাগ্য। ফেলনা ধারাবাহিকে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে রাজ চক্রবর্তীর সান্নিধ্যে আসেন অভিনেতা। এরপর সম্প্রতি প্রলয়ের হাত ধরেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন দেবমাল্য। নিজের টাকায় কিনেছেন বাইক। অভিনেতার সফলতা খুশি তার বাবা মাও। দেবমাল্যর অভিনয় আপনাদের কেমন লাগে?

 

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

                 

You cannot copy content of this page