বিয়ে কি ঈশপের গল্প না কি রূপকথার গল্প? ঈশপের প্রতিটা গল্পের নেপথ্যে থাকে নীতিশিক্ষা। কিন্তু বিয়ে থেকে কি আদৌ কোনও নীতিশিক্ষা পাওয়া যায়? অদ্ভুত লাগলেও হঠাৎ এই প্রশ্ন করেছেন অভিনেতা সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।
এখন রয়েছে হালকা শীতের আমেজ। শহরের আনাচে-কানাচে কান পাতলে কখনও শোনা যাচ্ছে সানাইয়ের সুর। গোলাপি ধুতি আর ধূসর রঙের পাঞ্জাবিতে সেজে এরই মাঝে নতুন ছবি পোস্ট করলেন অভিনেতা। তবে এবার তার পোস্টের থেকে বেশি তার ক্যাপশন নজর কেড়ে নিলে দর্শকদের। বিয়ে বন্ধুত্ব, সম্পর্কের অনুভূতিগুলোকে বিশ্লেষণ করেছেন সুজয়। কিছু বিশেষ উপলব্ধি করেছেন তিনি।
বলেন, “আসলে মাঝেমাঝে আমার মনে হয়, কোথাও কি অসম্পূর্ণতা রয়ে গেল? আমার তো কোনও দিন এমন সামাজিক স্বীকৃতি, বিয়ে হবে না। তা হলে এটা কি অসম্পূর্ণতা! এটা একটা অদ্ভুত দ্বৈরথ। তার পর মনে হল এটা তো একটা সামাজিক অনুষ্ঠান। বন্ধুত্বযাপনের সঙ্গে এটার কোনও সম্পর্ক নেই।” ‘বেলাশেষে’-এর পর অনেক বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল। একটি মেয়ে রয়েছে তাকে মেসেজ করে বলতো তাকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না। সুজয় তখন মেয়েটিকে ডেকে সবকিছু বুঝিয়েছিলেন। মেয়েটি তখন সবকিছু বুঝেই তার সঙ্গে থাকতে রাজি হয়েছিল।
কিন্তু সুজয় প্রস্তুত ছিলেন না। পুরুষদের প্রেমটা একটু অন্য রকম। পাশাপাশি সোজাসুজি স্বীকার করে নিলেন যে অনেক বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। দেখেছেন সেই সব পুরুষের কোনও অবস্থান ছিল না। কিন্তু তিনি কারোর ঘর ভাঙ্গেননি। কিন্তু বিয়েটা তার কাছে রূপকথার মত। সেই গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়া যায়।