জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

পিরিয়ডসের অসহ্য যন্ত্রণায় কষ্টে থাকলেও থামে না শুটিং—মাসে মাত্র একদিন ছুটিতে লড়াই চালিয়ে যান ছোট পর্দার নায়িকারা!

রোদ-ঝড়, মাথা যন্ত্রণা বা জ্বর—এইসবের মাঝেও কাজে ছুটি নেওয়া মানেই গল্প থেকে বাদ পড়ে যাওয়ার ভয়। আর মাসিকের (Periods) দিনগুলো তো নিত্যসঙ্গী! একজন সাধারণ মেয়ে যেখানে পিরিয়ডসের সময়টুকু বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম নিতে চান, সেখানে টেলিভিশনের নায়িকারা দিনের পর দিন টানা ১৪ ঘণ্টার শুটিংয়ে পিরিয়ডসের অস্বস্তি, যন্ত্রণা ভুলে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেন বিনোদনের পর্ব। কিন্তু প্রশ্ন হল, শরীর ও মানসিক দিক থেকে এই কঠিন পরিস্থিতি কীভাবে সামলান তাঁরা?

টেলিপাড়ার নিয়মে, মাসে একদিন ছুটি—সপ্তাহে সাতদিন ধারাবাহিক সম্প্রচারিত হলে তো কথাই নেই। শুটিংয়ের সময়সীমা প্রায় ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা, অনেকসময় তার চেয়েও বেশি। আর এত ব্যস্ত শিডিউলের মাঝে ছুটি নেওয়ার সুযোগ কোথায়? অভিনেত্রীদের অনেকেই বলেছেন, মাসিক চলাকালীন পেটে তীব্র যন্ত্রণা হলেও তাঁরা নিজেদের দায়িত্বের জায়গা থেকে পেশাদারিত্ব ছাড়েন না। পিরিয়ডসের দিনগুলিতেও ক্যামেরার সামনে একই রকম দৃঢ়তার সঙ্গে দাঁড়ান।

এই মুহূর্তে টিআরপি তালিকার শীর্ষে থাকা ধারাবাহিক ‘পরশুরাম আজকের নায়ক’-এর নায়িকা তৃণা সাহা বলেন, “পিরিয়়ডসের সময় পেটে কষ্ট তো হয়ই। কিন্তু আমরা প্রাপ্তবয়স্ক এবং দায়িত্বশীল। এসব অজুহাতে কাজ বন্ধ করলে হবে না। আমি মনে করি, পুরো ব্যাপারটাই মানসিক। যত ভাবব, তত কষ্ট বাড়বে।” তৃণার মতে, কাজের চাপ এতটাই থাকে যে অনেক সময় বোঝাই যায় না শরীর কী সংকেত দিচ্ছে।

‘মিত্তির বাড়ি’ ধারাবাহিকের পারিজাত চৌধুরী এবং ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’-র মানসী সেনগুপ্তও তৃণার সঙ্গে একমত। মানসী জানান, এক সময় পেটব্যথা এতটাই অসহ্য হয়ে উঠেছিল যে ইনজেকশন নিতে হত। তবে এখন পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। কিন্তু কষ্ট তো রয়েইছে। তিনি বলেন, “শুট চলাকালীন মাঝেমধ্যে বিশ্রাম নিই, আবার শটও দিই।” পারিজাত জানান, স্টুডিয়োর সহকর্মীরা খুবই সহানুভূতিশীল। প্রয়োজন হলে গরম জলের ব্যবস্থাও করে দেন।

দীর্ঘদিন ধরে ছোট পর্দায় অভিনয় করছেন অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি দুটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। তাঁর কথায়, “ছুটি নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সবটা নিজের মানসিক শক্তির উপর নির্ভর করে। নিজেকে ঠিক রাখলে, কাজ করতেও কষ্ট লাগে না।” কাজের প্রতি তাঁদের দায়বদ্ধতা, সহানুভূতিশীল সহকর্মী এবং মানসিক দৃঢ়তাই তাঁদের এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও নিরলস কাজ চালিয়ে যাওয়ার রসদ জোগায়। অভিযোগ নয়, বরং পেশার প্রতি ভালোবাসাই এগিয়ে চলার প্রেরণা।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।