দোল উৎসব মানেই দারুন রঙ খেলা, হাসি, মজা, নাচ -গান, হইহুল্লোড়, ঠান্ডাই, নানারকমের খাওয়াদাওয়া এবং শেষ পাতে মিষ্টি। তবে একবেলা রঙ খেলাই যথেষ্ট নয়, বিকেলেও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বসে বসন্ত উৎসবের আড্ডা সঙ্গে ভুরিভোজ। না বাঙালি বলে কথা আমাদের শেষ মিষ্টি না থাকলে আবার খাওয়ার দাওয়ারটা ঠিক শেষ হয়না।
তাই এবার আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি একটি দারুন রেসিপি যেটা খেতে ছোট থেকে বড় সকলেই খুব ভালোবাসে। হ্যাঁ আজ আমরা বানানো কুলফি। এই গরমে রোদের মধ্যে ঠান্ডা ঠান্ডা কুলফি যেন তীব্র গরমে এক পশলা বৃষ্টির অনুভূতি দেয় আমাদের। তবে যতই আইসক্রিম খাইনা কেন, কুলফি স্বাদ একেবারেই অন্যরকম। যেন একটা বিশেষ অনুভূতি এনে দেয় আমাদের মনে তাই চলুন দেখে নিই কি কি উপকরণ লাগছে এই ফুলকি বানাতে।
উপকরণ:
কাজুবাদাম: ১/২ কাপ
ঘন দুধ: ২ কাপ
পেস্তা: ১/২ কাপ
কাঠবাদাম: ১/২ কাপ
এলাচের দানা: ১০টি
দুধ: ২ লিটার
গোটা গোলমরিচ: ২৫ টি
গোবিন্দ ভোগ চালের গুঁড়ো: ৩-৪ টেবিল চামচ
মৌরি: ২ টেবিল চামচ
পোস্ত: ২ টেবিল চামচ
গোলাপের শুকনো পাপড়ি: ৪ টেবিল চামচ
জাফরান: দুই চিমটে
জায়ফল গুঁড়া: ১ চা চামচ
চিনি: ২৫০ গ্রাম
প্রণালি:
এবার চলুন বানিয়ে ফেলি কুলফি। প্রথমেই তার জন্য প্রয়োজন সব রকমের শুকনো উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে মিক্সিতে ভালো করে গুঁড়ো করে নিন। তারপর সেই মশলা দুধে দিয়ে ভালো করে গাঢ় পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার প্রতিটি গ্লাসে দুধের সঙ্গে এক টেবিল চামচ এই মিশ্রণটি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে দিলেই রেডি ঠান্ডাই। তবে কুলফি বানানোর জন্য এবার গাঢ় করে নিন দুই লিটার দুধ।
তারপর সেই দুধে গোবিন্দভোগ চালের গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর দুধ আরও ঘন হয়ে এলে তাতে মিশিয়ে দিন তাতে এক টেবিল চামচ ঠান্ডাইয়ের মিশ্রণ। তারপর সেই মিশ্রণে দিয়ে দিন পরিমাণ অনুযায়ী চিনি এবং ভালো করে নাড়াচাড়া করুন। তারপর মিনিট দুয়েকের পর গ্যাস বন্ধ করে দিন। এরপর মিশ্রণটি ঠান্ডা করে কুলফি জমানোর পাত্রে রেখে দিয়ে ডীপ ফ্রিজারে রেখে দিন মিনিট পাঁচেক। খাওয়ার শেষ পাত্রে পরিবেশন করুন এই ঠান্ডাই কুলফি। একেবারে দারুন।