Food

আর কষা বা ঝোল নয়, সপ্তাহ শেষে বানিয়ে ফেলুন চিকেন বালতি কারি, রইল রেসিপি

রবিবার মানেই গরম ভাতের সঙ্গে মুরগির ঝোল। কিন্তু বাড়িতে অতিথি এলে ভাল-মন্দ কিছু একটা রান্না করতে মন চায় বইকি! তাই এক ঘেয়ে চিকেন কষা বা ঝোল খেতে যদি ভাল না লাগে, তা হলে বানিয়ে ফেলতে পারেন চিকেন বালতি কারি (Chicken Balti Curry)। নাম শুনে ভিরমি খাওয়ার কিছু নেই। এই চিকেন বানাতে রান্নাঘর থেকে বালতি আনতে ছুটতে হবে না। ইংল্যান্ডের ভারতীয় খানার রেস্তরাঁয় বালতির মতো পাত্রে রান্না করা হয়েই বিশেষ ধরণের চিকেন। তা সে যে দেশের রান্না হোক, যেভাবেই রান্না হোক, শীতের দুপুর জমে যাবে চিকেনের সঙ্গে মুরগির এই বিশেষ পদে। কী ভাবে রাঁধবেন? রইল রেসিপি।

উপকরণ:

ম্যারিনেট করার জন্য:

ছাড়ানো মুরগির মাংস ৫০০ গ্রাম, টক দই ২ টেবিল চামচ, নুন আধ চা চামচ, গোলমরিচের গুঁড়ো আধ চা চামচ, আদা বাটা আধ চা চামচ, রসুন বাটা আধ চা চামচ, প্যাপরিকা পাউডার ১ চা চামচ

রান্না করার জন্য:

সর্ষের তেল ৪ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম আধ কাপ, আদা বাটা আধ চা চামচ, রসুন বাটা আধ চা চামচ, কাঁচালঙ্কা কুচি ২ টেবিল চামচ, দারচিনি ১টি, তেজপাতা ১টি, গোটা জিরে আধ চা চামচ, জিরে গুঁড়ো আধ চা চামচ, ধনে গুঁড়ো আধ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো আধ চা চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো আধ চা চামচ, গরমমশলা গুঁড়ো আধ চা চামচ, টোম্যাটো কুচি ১ কাপ, টক দই আধ কাপ, নারকেলের দুধ আধ কাপ, নুন স্বাদ অনুযায়ী, ধনেপাতা আধ কাপ,

প্রণালী: প্রথমে ম্যারিনেট করার উপকরণ দিয়ে মাংস ম্যারিনেট করে সারা রাত রেখে দিন। কমপক্ষে দু ঘন্টা রাখতে পারলে তো আরো ভাল। এবার কড়াইতে তেল গরম করে নিন। এরমধ্যে ম্যারিয়েট করা মাংসগুলো দিয়ে ভেজে তুলে রাখুন। ওই তেলেই দিন গোটা জিরে, তেজপাতা এবং দারচিনির টুকরো দিয়ে দিন। একটু ভেজে তারমধ্যে দিন পেঁয়াজ কুচি। পেঁয়াজ বাদামি করে ভাজা হলে মিশিয়ে নিন আদা, রসুন বাটা। এবার তা ভাজা ভাজা হলে টোম্যাটো এবং কাঁচালঙ্কা কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন।

এরপর দিন সমস্ত মশলা দিয়ে দিন। ভাল করে রান্না করুন। এবার একটি পাত্রে টক দই ও নুন ফেটিয়ে তা রান্নার মধ্যে ঢেলে নিন। মশলা থেকে তেল বেরোতে শুরু করলে মিশিয়ে দিন ভেজে রাখা মাংসগুলো। কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করে ক্যাপসিকাম দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। এবার অল্প আঁচে কিছুক্ষন ফুটতে দিন। এরপর নারকেলের দুধ এবং নুন দিয়ে নাড়াচাড়া করে মাংস সেদ্ধ হতে দিন। এরপর ধনে পাতা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র।