এই মুহূর্তে যেদিকেই তাকাচ্ছি আমরা সেদিকেই গন্ধরাজের ছড়াছড়ি। গন্ধরাজ চিকেন থেকে গন্ধরাজ মোমো, গন্ধরাজ এগরোল- রামরঙিয়ে চলছে বাজারে। তুমি তার মধ্যেই গন্ধরাজের আরেকটি দুর্দান্ত পদ নিয়ে হাজির হলাম আমরা। তবে সাধারণত সমস্ত গন্ধরাজ জিনিসকেই মিঠাই ভক্তরা উচ্ছে বাবুর নাম দিয়ে বলতে ভালোবাসে কারণ নিজের ভক্তদের কাছে উচ্ছেবাবু বাবু আর মিঠাই রানী ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ দু’জন মানুষ।
এটি হলো রুই মাছের একটি রেসিপি। সাধারণ মাছের একটি রেসিপি যেভাবে গন্ধরাজ লেবু দিয়ে তৈরি করা যায় সেটাই দেখানো হয়েছে এই রেসিপিতে। দুপুরের জন্য একেবারে আদর্শ রেসিপি। সাধারণ মাছের ঝোল নয় এটি। এর মধ্যে রয়েছে বিশেষ চমক। না খেলে সেটা বুঝবেন না। আর খুব বেশি উপকরণ লাগে না এতে। তাই তাড়াতাড়ি দেখে নিন আর বানিয়ে নিন দুপুরের লাঞ্চ হিসেবে। সঙ্গে থাকুক গরম গরম ভাত।
উপকরণ: রুই মাছ
টক দই
সর্ষে পোস্ত বাটা
আদা বাটা, লঙ্কা বাটা
হলুদ গুঁড়ো
গন্ধরাজ লেবুর রস
পরিমাণ মত নুন
সর্ষের তেল
সামান্য চিনি স্বাদের জন্য
পদ্ধতি: মাছের পিস্ গুলোকে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল ঝরিয়ে শুকনো করে নেবেন। মাছের মধ্যে পরিমাণ মত নুন, এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো, ১ চামচ আদা ও লঙ্কা বাটা, ১ টা গন্ধরাজ লেবুর অর্ধেকের রস, আর ১ চামচ কাঁচা সর্ষের তেল নিয়ে সবটা ভালো করে মাখিয়ে রাখুন।
মশলা মাখানো হয়ে গেলে ৫-১০ মিনিট রেখে দেবেন। এরপর ম্যারিনেট করা মাছগুলিকে কড়ায় কিছুটা সর্ষের তেল গরম করে ভালো করে ভেজে নেবেন। রান্নার জন্য একটা স্পেশাল মশলা পেস্ট তৈরী করতে হবে। এর জন্য একটা বাটিতে ৪ চামচ জল ঝরানো টক দই, ১ চামচ আদা ও লঙ্কা বাটা, পরিমাণ মত নুন, ১ চামচ জিরে গুঁড়ো আর সামান্য জল দিয়ে সবটাতে ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট বানান। কড়ায় মাছ ভাজা তেলের মধ্যেই তৈরী করা পেস্ট দিয়ে কষাতে শুরু করতে হবে। ৩-৫ মিনিট মত কষিয়ে নেওয়ার পর তেল ছাড়তে শুরু করলে ৩-৪ চামচ সর্ষে ও পোস্ত বাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে নেবেন। এই সময় সামান্য চিনি দিয়ে দেবেন। কষানো হয়ে গেলে যতটা গ্রেভি চান ততটা জল দিয়ে সাথে ৩-৪টে কাঁচা লঙ্কা দিয়ে সবটা ফুটতে দেবেন। ফুটতে শুরু করলে ভেজে রাখা মাছ কড়ায় দিয়ে মিডিয়াম আঁচে ঢাকা দিয়ে ৩-৫ মিনিট মত রান্না করে নেবেন। ৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে ২-৩টে গন্ধরাজ লেবুর পাতা কড়ায় দিয়ে দেবেন। আর বাকি লেবুর রস ছড়িয়ে দিয়ে ঢাকা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রেখে দিলেই রেডি গন্ধরাজ রুই।