আজ শুভ জন্মাষ্টমী বা শ্রীকৃষ্ণ জন্মতিথি। এই দিনটি কৃষ্ণ ভক্তদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শাস্ত্র অনুযায়ী, ভাদ্রমাসের কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী তিথিতে ও রোহিণী নক্ষত্রে জন্ম হয়েছিল শ্রীবিষ্ণুর অষ্টম অবতার শ্রী কৃষ্ণের। আর জন্ম তিথি হিসেবে জন্মাষ্টমী পালন করার প্রথা চলে এসেছে। কৃষ্ণের জন্ম তারিখ হল খ্রিস্টপূর্ব ৩২২৮ সালের ১৮ জুলাই। তবে তিথি অনুযায়ী তিথি অদল বদল হয়। গোটা দেশ জুড়ে পালিত হয় এই উৎসব।আর আজকের এই বিশেষ দিনে এক বিশেষ পদ আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেব।
গোপালের ভোগ মানেই আমরা বাঙালিরা বুঝি নাড়ু, তালের বড়া, ক্ষীর, পায়েস, মালপোয়া! তবে এইসবের পাশাপাশি পুষ্পান্ন ভোগের চল আছে বাংলায়। অর্থাৎ মিষ্টি পোলাও। জন্মাষ্টমীর দুপুরে গোপালকে ভোগ হিসেবে এই খাবার নিবেদন করা যায়। জেনে নিন পুষ্পান্নের রেসিপি
উপকরণঃ
গোবিন্দভোগ চাল- ২ কাপ
সাদা তেল- প্রয়োজনমতো
নুন- স্বাদমতো
হলুদ ১/২ চা চামচ
আদার রস- ২ চা চামচ
গরম মশলা- ২ চা চামচ
ঘি- ১/২ কাপ
কাজুবাদাম- ২ টেবিল চামচ
কিশমিশ- ২ টেবিলচামচ
তেজপাতা- ২ টি
চিনি- ৪ চামচ
এলাচ-লবঙ্গ- ৭টি
ছানা/পনির- ১৫০ গ্রাম
রন্ধন প্রণালীঃ প্রথমেই চাল ধুয়ে কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পনির ছোট ছোট টুকরা করে কেটে ভেজে নিন। বা ছানা ছোট ছোট করে শেপ দিয়ে ভেজে নিন। কড়াইতে ঘি গরম করুন। তাতে কাজু এবং কিশমিশ সোনালি করে ভেজে তুলে নিন। এবার চালের জল খুব ভালো করে ঝরিয়ে নিন। একটি থালার মধ্যে চাল ছড়িয়ে নিয়ে তার মধ্যে তিন চার চামচ মতো ঘি, অল্প পরিমাণে হলুদ গুঁড়ো, আদা বাটা, নুন এবং গরম মশলা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মেখে বেশ কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিন।
অন্যদিকে বেশ খানিকটা জল উষ্ণ করে গরম করে নিন। এবার কড়াইতে তেল গরম করে তাতে ঘি দিয়ে তেজপাতা এবং লবঙ্গ ফোঁড়ন দিন। এবার তার মধ্যে চাল, কাজু, কিশমিশ ভাজা দিয়ে ভালো করে মেশান। চাল অল্প করে ভেজে নিন। এবার যতটা চাল তার ডাবল জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে ফুটতে দিন। চাল খানিকটা ফুটে গেলে ঢাকা খুলে তার মধ্যে স্বাদ অনুযায়ী চিনি এবং ছানার গোল্লা দিয়ে মিশিয়ে নিনি ভালো করে। তরপর ফের ঢাকা দিয়ে দিন। চাল একদম ঝরঝরে হয়ে গেলে আঁচ বন্ধ করে দিন। তৈরী পুষ্পান্ন ভোগ।