বাঙালি মানে কিন্তু খাওয়ার শেষে চাটনি মাস্ট। বিয়েবাড়ি হোক বা উপনয়ন কিংবা অন্নপ্রাশন বা জন্মদিন খাওয়ারের শেষে চাটনি থাকবেন। তাছাড়াও অনেকেই আছেন যাদের বাড়িতেই খাওয়ার শেষে চাটনি থাকতেই হবে। পাতে মাছ পড়ুক কিংবা কষা মাংস শেষ চাটনি না থাকলেও যেন মেন্যুটাই শেষ হয়না।
তবে চাটনির ক্ষেত্রে আবার মানুষের পছন্দ ভিন্ন। নানা মানুষ নানাভাবে বানান চাটনি। যেমন টমেটোর চাটনি, আমের সময় অর্থাৎ গরমকালে আমের চাটনি, জলপাইয়ের চাটনি তো প্রায় সকলেই খেয়েছেন। আবার অনেকেই আবার বানাতে পারেন আপেলের চাটনি, রসুনের চাটনি, লাল চিনাবাদামের চাটনি, পেঁপের চাটনি। তবে কখনও পালং শাকের চাটনি খেয়েছেন? খেতে কিন্তু যেমন সুস্বাদু তেমনই স্বাস্থ্যকর। আর বানানোও খুব সহজ। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নিই কীভাবে বানাবেন পালং শাকের এই চাটনি।
উপকরণ:
তাহলে চলুন আর দেরি না করে চটপট জেনে নিই কি কি উপকরণ লাগবে এই সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর পালং শাকের চাটনি বানানোর জন্য। পালং শাকের চাটনি বানানোর জন্য উপকরণ হিসেবে লাগবে – পালং শাক, পেঁয়াজ কুচি, গোটা রসুন, টমেটো কুচি, কাঁচা লঙ্কা, গোটা জিরে, সর্ষে, শুকনো লঙ্কা, হিং, পরিমাণ অনুযায়ী তেল, স্বাদ অনুযায়ী লবণ
প্রণালি:
প্রথমেই পালং শাক কুচি কুচি করে কেটে নিন। এরপর গ্যাস জ্বালিয়ে প্যানে গ্যাসে বসিয়ে তাতে পরিমাণ অনুযায়ী তেল গরম করে নিন। তারপর তেল গরম হয়ে গেলে প্যানে দিয়ে দিন গোটা জিরে, রসুন, কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজ কুচি। এরপর সমস্ত উপকরণগুলো ভালোভাবে ভেজে নিন। তারপর দিয়ে প্যানে দিন টমেটো কুচি। আর বাকি সমস্ত উপকরণগুলোর সঙ্গে হালকা করে ভেজে নিন।
আরও পড়ুন: পায়েস তাও আবার পেঁয়াজ দিয়ে! জেনে নিন ঠাকুর বাড়ির বিখ্যাত পেঁয়াজ পরমান্নর রেসিপি
এবার প্যানে যোগ করুন আগে থেকে কুচি কুচি করে কেটে রাখা পালং শাক। এরপর প্যানে পালং শাকের কুচিগুলোও ভালোভাবে ভেজে নিন। এরপর মিক্সিতে আগে থেকে ভেজে রাখা পালং শাক, টমেটো কুচি, রসুন, পেঁয়াজ কুচি, গোটা জিরে দিয়ে সামান্য লবণ আর দুই টুকরো বরফ দিয়ে ভালো করে পেস্ট করে নিন। তারপর প্যানে তেল গরম করে সর্ষে, শুকনো লঙ্কা, হিং ফোড়ন দিয়ে নিন। এরপর ফোড়ন ওই চাটনির মধ্যে নিয়ে নিন। ব্যস তাহলেই তৈরি পালং শাকের চাটনি।