Food

পুষ্টিগুণে ভরপুর হোক আপনার প্রাতঃরাশের প্লেট! রেসিপি দিয়ে রইল মাশরুম চিজ অমলেট

গোটা দিনের মধ্যে সবথেকে প্রয়োজনীয় হল সকালের খাবার বা ব্রেকফাস্ট। গোটা রাত পেট খালি থাকার পর সকালে তাকে পর্যাপ্ত খাবার দেওয়ার জন্য রাজার মতো ব্রেকফাস্ট করা উচিত। এরফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে শরীরের ওজন। শরীর থাকে ভালো। ‌‌

কখনই ব্রেকফাস্ট স্কিপ করার চেষ্টা করবেন না। এক‌ইসঙ্গে মাথায় রাখতে হবে সময়কেও।ব্রেকফাস্টে সব সময় সকাল ১০ টার মধ্যে সেরে ফেলার চেষ্টা করবেন। তবে সকালে ব্যস্ততার কারণে অনেকেই খাবার বানানোর সুযোগ পান না। এই পরিস্থিতিতে চটজলদি কিছু একটা বানিয়ে খেয়ে নিন। এমন কিছু খাবার খান যাতে থাকবে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার সব উপাদান। তবে কার্বোহাইড্রেট তুলনায় কম রাখবেন। বরং ফাইবার, প্রোটিন বেশি করে খাবেন। তাহলে দেখে নিন সকালের জলখাবারের জন্য পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার। সেটি হল মাশরুম চিজ অমলেট! চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে তৈরি করবেন এই পদটি!

মাশরুম চিজ অমলেট বানানোর উপকরণগুলি হল:

৩টি ডিম (যতগুলি আপনার প্রয়োজনীয়)

১ ১/২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল বা রিফাইন ওয়েল।

কাটা পেঁয়াজ পরিমাণ মতো

নুন স্বাদ অনুযায়ী

১ টেবিল চামচ মাখন

কালো গোলমরিচ স্বাদমতো

১/২ কাঁচা মরিচ

১ টেবিল চামচ ধনেপাতা

২ টেবিল চামচ মোজারেলা

৬টি মাঝারি পাতলা করে কাটা বোতাম মাশরুম

দেখে নেওয়া যাক রন্ধন প্রণালী: পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং সুস্বাদু মাশরুম চিজ অমলেট তৈরি করতে প্রথমে মাশরুম এবং ধনে পাতাগুলো ভালো করে জলে ধুয়ে নিয়ে ভালো করে কুঁচিয়ে নিন। এরপর একটি ফ্রাইং প্যানে মাঝারি আঁচে সাদা তেল গরম করুন। তেল ভালোভাবে গরম হলে, মাশরুমের সঙ্গে ১/২ টেবিল চামচ মাখন দিন, স্বাদমতো নুন এবং মরিচ দিয়ে ভালো করে একটু ভেজে নিন। প্রায় ৩ মিনিট পর আঁচ থেকে নামিয়ে একপাশে রাখুন। এবার একটি পাত্র ডিমগুলি ভেঙে ফেটিয়ে রাখুন।

এরপর ওই ডিমে একে একে দিয়ে দিন পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা, লবণ এবং মরিচ। ভালভাবে মেশান। এবার মাঝারি আঁচে একটি প্যান রাখুন এবং তাতে বাকি মাখন দিন। তারপর তাতে ডিমের মিশ্রণ যোগ করুন এবং সমানভাবে ছড়িয়ে দিন। ডিম ওই প্যানে সম্পূর্ণ ভাবে ছড়িয়ে গেলে তাতে, যোগ করুন মোজারেলা ও মাশরুম যোগ করুন। চাইলে অন্য কোন‌ও চিজ‌ও আপনি ব্যবহার করতে পারেন। এবার অমলেট অর্ধেক ভাঁজ করে নিন। প্রস্তুত আপনার মাশরুম চিজ অমলেট। প্রাতঃরাশের জন্য কিন্তু দারুণ খাবার এটি‌।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।