জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

মাছ-মাংস ফেল হয়ে যাবে! ঝটপট দুপুরের ভাতে বানিয়ে ফেলুন নারকেল-কুমড়োর যুগলবন্দি! স্বাদে অতুলনীয় এই পদ

রন্ধন এক ধরণের শিল্প। সবার হাতের রান্না‌ই যে অসাধারণ হয় তা বলা যায় না। কিছু মানুষের হাতে তো রীতিমতো জাদু থাকে। যাদের খুন্তির ছোঁয়াতে পর্যন্ত রান্না অসামান্য হয়ে ওঠে। বলাই হয়ে থাকে, আমিষ রান্নার থেকে নিরামিষ পদ অনেক বেশি কঠিন। আর আজ আপনাদের সঙ্গে সেই রকমই একটি নিরামিষ পদের রেসিপি ভাগ করে নেব‌।

এখন তো দুপুরে পদে বহু বাড়িতেই মাছ মাংস ছাড়া চলেই না। তবে আজ আপনাদের সঙ্গে এমন একটি পদের রেসিপি ভাগ করে নেব যা খেলে আপনি মাছ-মাংসের স্বাদ ভুলতে বাধ্য হবেন।‌ কী সেই পদ? চলুন দেখে নেওয়া যাক মুখে জল আনা এই রেসিপিটি-

উপকরণ :

একবাটি ছোট করে কাটা মিষ্টি কুমড়ো
নারকেল কোড়া ২টেবিল‌ চামচ
নারকেলের দুধ ১ কাপ
নারকেল বাটা ৩ টেবিল চামচ
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ কুচি কুচি করে কাটা ২ টেবিল-চামচ
গোটা জিরে ১ টেবিল চামচ
শুকনো লঙ্কা দুটি
তেজপাতা দুটি
জিরে গুঁড়ো এক টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো এক টেবিল চামচ
টমেটো বাটা ৩ টেবিল চামচ
সরষের তেল ৫ টেবিল চামচ
নুন আপনার স্বাদ অনুযায়ী
মিষ্টি আপনার স্বাদ অনুযায়ী

রন্ধন প্রণালী:

শুরুতেই কড়াইতে তেল গরম করে তার মধ্যে একে একে দিয়ে দিন গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা, এবং তেজপাতা। একটুখানি নেড়েচেড়ে দিয়ে দিন পেঁয়াজ কুচি। পেঁয়াজ লালচে হয়ে এলে দিয়ে দিন টমেটো বাটা, আদা বাটা।

এরপর ভালো করে কষানো হয়ে গেলে উপরিউক্ত সমস্ত গুঁড়ো মশলা দিয়ে দিন‌। ভালো করে নাড়াচাড়া করে দিয়ে দিন নারকেল বাটা, নারকেল কোড়া। দিন স্বাদমতো নুন, মিষ্টি।‌ এরপর কেটে রাখা কুমড়ো দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করুন। কষানোর পর তেল ছেড়ে এলে নারকেলের দুধ দিয়ে কম আঁচে অন্তত পাঁচ মিনিটের জন্য ঢাকা দিয়ে রাখুন।

এই ভাপেই রান্না হয়ে যাবে। এরপর ঢাকা খুলে উপরে কোরানো নারকেল ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন অসাধারণ ‘নারকেল কুমড়োর যুগলবন্দি’। রুটি হোক বা দুপুরের ভাত এই পদ হিট। বাড়িতে কিন্তু অবশ্যই বানাবেন একবার।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page