Viral

Kancha Badam Kaku: টাকা, বাড়ি, গাড়ি সব হারিয়ে এখন পথে ভুবন বাদ্যকর! ভাইরাল সেলিব্রিটির শেষ পরিণতি জানলে কেঁদে ফেলবেন

সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) যুগে ঠিক যত তাড়াতাড়ি একটা মানুষ উপরে উঠতে পারে, ঠিক তত তাড়াতাড়ি একটা মানুষ নিচে নামতে পারে। তাই একবার সেলিব্রিটির আসনে বসে গেলেই অহংকার বেড়ে যাওয়া নেটিজেনরা ভালো চোখে দেখেন না। কারণ একজনকে ভাইরাল করে তোলেন যেমন নেটিজেন, ঠিক তেমনভাবে নিচে নামানোর ক্ষমতাও তাঁদের হাতেই থাকে।

এরকম আমরা দুজনকে খুব ভালোভাবেই চিনি, যারা একদিন রাতারাতি ভাইরাল হয়ে পড়ে। একজন হলেন, রানু মন্ডল (Ranu Mondal), অপরজন বাদাম বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar)। রানু মন্ডলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তেমন করে আর কিছুই বলার নেই। আমরা সকলেই অনেক ব্লগাররের মাধ্যমে তা জেনে গিয়েছি। এবার আসা যাক ভুবন বাদ্যকরের কথায়। গত বছর অবধি ছিল তাঁর বিশাল রমরমা।

বাদাম বিক্রি করার সাথে ‘কাঁচা বাদাম’ (Kancha Badam Kaku) গানটি গেয়ে একদিন তাঁর ভাগ্য বদলে যায়। তাঁর গাওয়া গান মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেন্সেশন হয়ে ওঠে। আর তা সম্ভব হয়েছিল একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর জন্যই। তিনি সেই পোস্টটি প্রথম করেন। তারপরেই বীরভূমের বাসিন্দা ভুবন বাদ্যকর তারকা হয়ে ওঠেন এবং তাঁর গানটি বাংলাদেশ ও ভারতে ভাইরাল হয়ে যায়। তাঁর ‘কাঁচা বাদাম’ গান সেইসময়ে ইউটিউবে লক্ষ লক্ষ ভিউ ছাড়িয়ে যায়।

তবে বর্তমানে ভুবনের জনপ্রিয়তায় অনেকটাই ভাটা পড়েছে। এখন আর তাঁকে তেমন গান গাইতে দেখা যায় না। হঠাৎই কোথায় যেন হারিয়ে গেলেন তিনি। অনেকেরই প্রশ্ন, কোথায় এবং কেমন আছেন ভুবন বাদ্যকর? একসময় যেভাবে তিনি সেলিব্রিটি হয়ে পড়েছিলেন, হঠাৎ তাঁর নিমেষেই পতন। শোনা গিয়েছিল, সেলিব্রিটি হয়ে তাঁর অহংকারও বেড়েছিল, আর তাতেই হয়তো এতটা পতন। বর্তমানে ভুবন বাদ্যকর এখন খুব করুণ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।

আরও পড়ুনঃ সূর্য-দীপা পুজোয় মেতে উঠবে, মিশকা জেলের ঘানি টানবে! ছবিসহ আগাম পর্ব ফাঁস

ভুবনের বর্তমান অবস্থার কথা শুনলে চোখের জল আসবে সকলের। এতটাই অর্থের অভাব হয়েছে যে একটা নতুন জামা প্যান্ট কেনার ক্ষমতা নেই এখন তাঁর। সম্প্রতি তিনি জানান, তাঁর কাছে একটুও টাকা নেই যে এই দুর্গাপুজোয় নিজের এবং পরিবারের জন্য কিছু কিনবেন। নতুন বস্ত্র ছাড়াই তাঁদের পুজোর কাটবে এ বছর। যদিও ভুবন বাদ্যকরের ছেলে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। কিন্তু সেই চাকরির টাকায় এত বড় সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।