একজন সিডি ব্যবসায়ী থেকে তারকা বনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (Social Medium) ব্যাপক আলোচিত হয়েছেন হিরো আলম (Hero Alom)। বাংলাদেশের (Bangladesh) বগুড়া জেলার এরুলিয়া গ্রামে সিডি বিক্রি এবং পরে কেবল সংযোগের ব্যবসা করতেন তিনি। কেবল সংযোগের ব্যবসার সুবাদে মিউজিক ভিডিও তৈরি করা শুরু করেন। এরপর প্রায় ৫০০র বেশি মিউজিক ভিডিও এবং অজস্র ইউটিউব চলচ্চিত্র ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গুলোয় তাকে নিয়ে ট্রোলিং শুরু হয়। আর এরপর থেকেই প্রচারের আলোয় উঠে আসেন তিনি।
আসলে বলা যায় এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া সেলিব্রেটি হলেন হিরো আলম। তাঁকে চেনেনা দুই বঙ্গে এমন মানুষ মেলা ভার। চেহারা থেকে শুরু করে অভিনয় সবকিছুর জন্যই কটাক্ষের শিকার হয়েছেন তিনি। কিন্তু এই অগাধ অপমান সহ্য করেও লড়াই ছেড়ে যাননি। বিদ্রুপ ব্যঙ্গ সবকিছুকে সহ্য করে দাঁতে দাঁতে চিপে পড়ে থেকেছেন। আর তাই তাঁর এই বিশাল জনপ্রিয়তা।
সে তাঁর গান হোক বা অভিনয় বারবার কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে! তবুও নিজের জায়গা থেকে সরে যাননি হিরো আলম। আঐ সোশ্যাল মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করেছেন নিজেকে। শুধুমাত্র একটি দেশে নয় প্রতিবেশী দেশ ভারতবর্ষেও অত্যন্ত জনপ্রিয় এই বাংলাদেশী কৌতুকাভিনেতা। তাকে নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই এপার বাংলার মানুষেরও।
তবে বারংবার নিজের দেশেই আক্রান্ত তিনি। আর এবার ফের একবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রাজপথে আক্রান্ত হলেন তিনি। আসলে অভিনয়, ভিডিও এইসবের পাশাপাশি রাজনীতি নিয়েও বিশাল আগ্রহ হিরো আলমের। জনসেবা করতে চান তিনি। ঢাকার উপনির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে এবার লড়াইও করছেন তিনি। আর সেই কারণেই গত সোমবার বিকেল ৩টে ১০ মিনিটে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এবং কলেজের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছিলেন হিরো আলম। আর সেখানেই আওয়ামী লীগের সমর্থকদের হামলার মুখে পড়েন এই সোশ্যাল মিডিয়া সেলিব্রেটি। একেবারে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। সেই সঙ্গে চলে গালিগালাজ। এরপর হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয় হিরো আলমকে।
জানা গেছে যখন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়েছিলেন হিরো আলম তখনই তার পিছনে হামলাকারীরা। তারা সমানে হিরো আলমকে উদ্দেশ্য করে উত্তেজিত মন্তব্য গালিগালাজ করতে থাকে। এরপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ওই কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা হিরো আলমকে ঘিরে স্কুলের ফটকের দিকে নিয়ে যান। তখনই পিছু নেয় হামলাকারীরা। জানা গেছে স্কুল থেকে বের হয়ে সড়কের দিকে দ্রুত গতিতে হাঁটছিলেন হিরো আলম। তখনই হামলাকারীরা তাকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে এলোপাথাড়ি মারধর করে। এরপর হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচতে ছুটতে শুরু করেন হিরো আলম। প্রথমে একটি রিকশায় ওঠেন। পরে গাড়িতে উঠে চলে যান। যদিও এই ঘটনার পরে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন তিনি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে আটক করা হয়েছে।