জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘আমি শেষ হয়ে গেছি’! মুখ খুললেন এই মুহূর্তের অন্যতম বিতর্কিত সিরিয়াল ইচ্ছে পুতুলের ‘সৌরনীল’ মৈনাক!

এই মুহূর্তে তিনি কাজ করছেন জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ইচ্ছেপুতুল’ (Iccheputul) ধারাবাহিকে। এই ধারাবাহিকে তিনি নায়ক সৌরনীলের ভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিনেতা মৈনাক ব্যানার্জী (Mainak Banerjee)। সিনেমা, ওয়েব সিরিজে কাজের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সময় ধারাবাহিকে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন।‌ তবে দীর্ঘদিন পর তিনি মূল নায়ক চরিত্রে অভিনয়ে ফিরেছেন ইচ্ছে পুতুল ধারাবাহিকে।

শুরুর দিকে খুব‌ই মন্থর গতিতে এগোচ্ছিল ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুল। খুব‌ই কম ছিল টিআরপি। তবে এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিক বেশ ভালোভাবেই ছুটছে। অভিনেতা জানিয়েছেন, তাদের বেশ ভালো শহুরে দর্শক রয়েছেন। যা অন্য ধারাবাহিকগুলোর নেই। অভিনেতার কথায় দীর্ঘদিন পর নায়ক চরিত্রে ফিরে দর্শকদের কাছ থেকে খুব ভালো রেসপন্স পেয়েছেন তিনি।

মৈনাক বলেন, অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির থেকেও দর্শকদের ভালোবাসা, তাদের কাছ থেকে পাওয়া প্রশংসা তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পর্দার সৌরনীলের সঙ্গে তার নায়িকা মেঘের সেই অর্থে বনিবনা না হলেও বাস্তব জীবনে বিবাহিত এই অভিনেতার দাম্পত্য জীবন বেশ ভালোই সুখী। যদিও পেশার কারণে অভিনেতার স্ত্রী থাকেন মুম্বাইতে।‌ আর অভিনেতা কলকাতাতে। সম্প্রতি দুজনে পন্ডিচেরী ঘুরতে গিয়েছিলেন বলে জানান অভিনেতা।

কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে স্ট্রাগল করলেও যতটা তার পাওয়ার কথা ছিল ততটা কী পেয়েছেন অভিনেতা? তার প্রথম সিনেমা হল অমরসঙ্গী। দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই সিনেমা। রাজের বরবাদ ছবিতে তার অভিনয় দেখে মন্ত্রমুগ্ধ হয়েছিলেন দর্শকরা।‌ তবে এতগুলো বছরেও ইন্ডাস্ট্রিতে সেইভাবে মৈনাককে সুযোগ দেয়নি। অভিনেতা বলেন, অনেকেই ভেবেছিলেন আমি শেষ হয়ে গেছি! কিন্তু আমার এখনও অনেক দেওয়ার বাকি আছে।

যদিও এখন খুবই বেছে বেছে কাজ করেন অভিনেতা। সিনেমা হোক বা ওয়েব সব ক্ষেত্রেই একটু চুজি হয়ে গেছেন তিনি। অভিনেতার কথায়, ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো কাজ পেতে হলে ইন্ডাস্ট্রির প্রভাবশালী পরিচালক বা প্রযোজকদের গোষ্ঠীর সদস্য হওয়া খুব জরুরী। কে কার সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছে, কাদের সঙ্গে মিশছে সেটা ইন্ডাস্ট্রিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই নিরিখে অভিনেতাকে বিচার করা হয়। যদিও গোষ্ঠীর সদস্য না হয়েই নিজের মতো কাজ করে চলেছেন মৈনাক।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।