এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের জগতে অপ্রতিরোধ্য দুই চ্যানেল স্টার জলসা (Star Jalsha ) এবং জি বাংলা (Zee Bangla) । আর এই দুই চ্যানেলে চলা একাধিক ধারাবাহিক দর্শকদের ভীষণ প্রিয়। এই যেমন জি বাংলার পর্দায় শুরু হওয়া ধারাবাহিক কার কাছে মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Katha) ইতিমধ্যেই দর্শকদের মনের কথা হয়ে উঠতে পেরেছে। আর যার জন্য বেশ ভালো রকমের সাফল্যই পকেটস্থ করেছে এই ধারাবাহিকটি।
বলে রাখা ভালো শুরুর দিকে কিন্তু বেশ ভালো রকমের কটাক্ষ হজম করতে হয়েছিল এই ধারাবাহিককে। ফুলশয্যার রাতে শাশুড়ির ছেলে বউয়ের ঘরে এসে শুয়ে পড়া থেকে শুরু করে বৈবাহিক ধর্ষণের দৃশ্য দেখিয়ে বারবার নেটিজেনরা বিতর্কবিদ্ধ করে তুলেছিলেন এই ধারাবাহিককে।
যদিও সমস্ত বিতর্ক কাটিয়ে এখন দুর্নিবার গতিতে ছুটে চলেছে এই ধারাবাহিকটি। দর্শকদের কাছে ইতিমধ্যেই দারুন জনপ্রিয়তা এই ধারাবাহিকের। বিশেষ করে প্রতিবাদী শিমুলকে দেখে দর্শকরা বলছেন এই রকমই হওয়া উচিত। না শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের বিরুদ্ধে গিয়ে মাথা নীচু করেনি শিমুল বরং মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছে সে। আর এই লড়াইয়ে সে তার নিজের মনের কথা বলতে পেরেছে তার পাড়ার প্রতিবেশী বন্ধুদের।
আরো পড়ুন: Soumitrisha Troll: শরীরে মেদ বেড়েছে! ‘প্রধান’ শুটিং শেষ করেই মোটা হয়ে গেল সৌমীতৃষা? ভিডিওতে হেটার্সদের আক্রমণ
তবে শুধু কি তাই? ধীরে ধীরে তার কুচুটে শাশুড়িও কোথাও গিয়ে তাকে ভালোবেসে ফেলেছে। এবং মাঝেমধ্যেই সেই কঠিন মানুষটার আবরণ ভেঙে বেরিয়ে আসছে ভেতরে লুকিয়ে থাকা ভালো মানুষের চেহারাটা। তবে সে যাই কিছুদিন আগেই শিমুলের প্রাক্তন প্রেমিক শতদ্রুকে নিয়ে বিরাট বড় ঝামেলা হয়েছে তার শ্বশুরবাড়িতে।
কিন্তু শাশুড়ির সমর্থন পেয়ে ননদ পুতুলকে বগলদাবা করে প্রাক্তন প্রেমিকের বোনের বিয়েতে উপস্থিত হয়েছিল শিমুল। আর সেখানে গিয়ে সে শতদ্রুর কাছ থেকে এমন একটি প্রস্তাব পেয়েছে যা শুনে তার পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। শতদ্রু চাকরি পায়নি, আর তাই সে সেই সময় শিমুলকে বিয়ে করতে পারেনি। সে শিমুলের কাছ থেকে ৫ বছর সময় চেয়ে নিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় তাকে দিতে পারেনি শিমুল। আর তাই পরাগকে বিয়ে করতে বাধ্য হয় সে।
শিমুলের বাড়িতে শিমুলকে নিমন্ত্রণ করতে গিয়ে শতদ্রু দেখেছে তার প্রাক্তন প্রেমিকা ঠিক কতটা কষ্টে রয়েছে। এখন সে ভালো চাকরি করে। তার বোনের বিয়েও হয়ে গেছে। সে এখন শিমুলের দায়িত্ব নিজের সক্ষম। আর তাই সে শিমুলকে প্রস্তাব দিয়েছে শিমুল যেন অত্যাচারী পরাগকে ছেড়ে তার জীবনে ফিরে আসে। শিমুলের জন্য তার বাড়ির দরজা সবসময় খোলা থাকবে। যদিও শতদ্রুর এই প্রস্তাব শিমুল নাকচ করে দিয়েছে। সে শতদ্রুকে এই ধরনের কথা আর ভুলেও মুখে আনতে নিষেধ করেছে। কিন্তু কোথাও কি শতদ্রুর এই ভালোবাসা তাকে আকর্ষণ করবে? সে কি পারবে সংসারের জাল ছিঁড়ে প্রেমের কাছে ধরা দিতে?