অনেকেই পুজোর কয়েকটা দিন নিরামিষ খান। আর সেই নিরামিষ খাওয়ার শুরু হয় ষষ্ঠী থেকে। আমিষ খাওয়া হয় নবমীর পুজো মিটলে। ছানা, পনিরের পাশাপাশি খিচুড়ি, লাবড়া, লুচি, আলুরদম, পায়েস, চাটনি, সবকিছুই থাকে। আর পুজোর দিনে এই সবের স্বাদও দ্বিগুণ হয়ে যায়। তা খেতেও লাগে বেশ। পুজোর দিনে যারা নিরামিষ খেতে পছন্দ করেন তারা এইভাবে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন পুঁইডাঁটার চচ্চড়ি। গরম ভাত অথবা খিচুড়ির সঙ্গে খেতে দারুণ লাগে।
পুঁই শাক ডাঁটা সহ
কুমড়ো ডুমো ডুমো করে কাটা ১০ পিস
একটা আলু ডুমো ডুমো করে কাটা
বড়ি ২০ টা
হাফ চামচ পাঁচফোড়ন
কাঁচা লঙ্কা পাঁঁচটা
হলুদ সর্ষে হাফ চা চামচ
পোস্ত হাফ চামচ
সর্ষের তেল হাফ বাটি
১/৪ চামচ হলুদ
নুন স্বাদ অনুযায়ী
চিনি স্বাদমতো
রন্ধন প্রণালীঃ প্রথমেই পুঁই শাকের পাতা-ডাটা আলাদা করে নিন। এরপর ডাঁটাগুলো ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এবার কাটা হয়ে গেলে একটি পাত্রে গরম জলে করে নিয়ে তার মধ্যে ডাঁটা ৫ মিনিটের জন্য সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ হয়ে গেলে জল ঝরিয়ে রাখুন একটি বাটিতে।
এবার কড়াইতে হাফ বাটি তেল দিন। এবার সেই তেল গরম হলে তার মধ্যে বড়িগুলো ভেজে তুলে রাখুন। এবার তার মধ্যে হাফ চামচ পাঁচফোড়ন ও তিনটে কাঁচা লঙ্কা চিঁরে দিয়ে দিন। তারপর আলু দিয়ে ২ মিনিট ভাজুন। কুমড়ো ও পুঁইশাক দিন। দুই থেকে তিন মিনিট ভালো করে ভাজার পর সেদ্ধ ডাঁটা যোগ করুন। ভালো করে সব ভাজুন।
এরপর এর মধ্যে দিয়ে দিন হলুদ। এরপর সর্ষে, পোস্ত ও দুটো কাঁচা লঙ্কা বেটে দিন। এরপর এই মিশ্রণটি ঢেলে দেওয়ার পর ভালো করে কষান। শাক থেকে জল ছাড়তে শুরু করলে স্বাদ অনুযায়ী নুন, চিনি দিন। এরপর সামান্য জল দিয়ে ঢেকে আলু, কুমড়ো সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। গা মাখা গা মাখা হয়ে এলে ভাজা বড়ি গুঁড়ো ওপর থেকে ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।