আজ শনিবার, আজকের দিনে অনেকেই নিরামিষ খায়। তবে হটাৎ যদি বাড়িতে কোনও অতিথি চলে আসে তাহলে? তাদের জন্য এমন একটা কিছুতো করতেই হবে যা খেয়ে তারা তৃপ্তি পান, তাদের স্বাদ বদল ঘটে। আর এখন তো আসতে আসতে গরম পরে যাচ্ছে ফলত সমস্ত খাওয়ায় ভালো লাগবে না। তাহলে কি এমন করবেন যা সহজের রান্না করা সম্ভব আর খেতেও সুস্বাদু? এঁচোড়ের দম। হ্যাঁ এটি খেতেও হবে খুব সুস্বাদু, আর একটিকে বানানোও খুবই সহজ।
রুটি, পরোটা, ভাত, পোলাও, ফ্রাইড রাইস প্রভৃতি যার সঙ্গেই এই রেসিপিটাকে পরিবেশন করুন না কেন মন জয় করে নেবে সকলের। আর এইটি সম্পূর্ণ নিরামিষ ভাবেই বানানো সম্ভব তাই আপনাদেরও কোনও সমস্যা হবে না এমনকি যারা সম্পূর্ণ নিরামিষাশী এবং পনির আর সয়াবিন খেয়ে খেয়ে আর ভালো লাগছে না এই রেসিপিটি তাদের মুখে আনবে স্বাদ বদল, ফিরিয়ে আনবে খাওয়ারে রুচি।
তবে প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি এঁচোড়ে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন এ ও সি, রিবোফ্লাভিন, থায়ামিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, নিয়াসন, জিঙ্ক এবং ফাইবার যা আপনাদের শরীরকে রাখবে সুস্থ। এমনকি ওজন কমাতেও উপকারী এঁচোড়। তাহলে চলুন দেখে নিই কি কি লাগছে এই এঁচোড়ের দম বানানোর জন্য।
উপকরণ : এঁচোড় ৫০০ গ্রাম,
টমেটো বাটা ৩ টেবিল চামচ,
আদা বাটা ২ টেবিল চামচ,
হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ,
গরম মশলা গুঁড়া ১ চা চামচ,
লঙ্কার গুঁড়ো স্বাদ মতো,
জিরে গুঁড়া ১ চা চামচ,
পোস্ত বাটা ২ টেবিল চামচ,
কাজু বাদাম বাটা ২ টেবিল, চামচ টক দই ২ টেবিল চামচ,
চামরগজ বাটা ২ চা চামচ,
সর্ষের তেল ১ কাপ,
চিরে রাখা কাঁচা লঙ্কা ২ টো,
গোটা জিরে ১ চা চামচ,
ধনে পাতা কুচি ১ কাপ,
এছাড়াও শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা নুন এবং মিষ্টি স্বাদ অনুযায়ী
রন্ধন প্রণালী: প্রথমের নুন এবং হলুদ মাখিয়ে সিদ্ধ করে নিন এঁচোড়। তারপর একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে দিয়ে দিন গোটা জিরে, তেলপাতা, শুকনো লঙ্কা বিয়ে ফোড়ন দিয়ে নিন। সেই ফোড়নে একে একে দিয়ে দিন আদা বাটা এবং টমেটো বাটা এবং সমস্ত ভাজা মশলা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। কষানো হয়ে গেলে তাতে টক দই, কাজু বাদাম, চামরগজ পোস্ত বাটা, নুন মিষ্টি স্বাদ মতো দিয়ে দিন। তারপর তাতে দিয়ে দিতে হবে আগে থেকে সিদ্ধ করে রাখা এঁচোড়। এরপর সামান্য উষ্ণ গরমজল দিয়ে ঢেকে রাখুন। কিছুক্ষন পর ঢাকা খুলে মাখোমাখো হয়ে গেলেই তার ওপর চেরা লঙ্কা, ধনে পাতা এবং গরম মশলা দিয়ে নিন। তারপর গরম গরম পরিবেশন করুন এঁচোড়ের দম।