বদলেছে সময়, বদলেছে ধরনও। আগের কার সময়ে সকলকে অন্যরকম কিছু খাওয়ার খাওয়ানোর জন্য চলতি খাওয়ারের মধ্যে ফের বদল করতেন আমাদের মায়েরা, দিদিমারা। তবে তাদের সেইগুণই এখন গ্রহণ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও বানানো কারীরা। আগের কখন দেখেননি এরকম কিছু একদম ভিন্ন রেসিপি সকলের সামনে তুলে ধরে তারা একেবারে অন্যভাবে। আপনাদের কাছে বহুল পরিচিত একটি খাওয়াকে আপনাদের সামনেই নিয়ে আসে তারা একেবারে ভিন্ন রূপে।
ফলত, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেড়ে যায় ফলোয়ার। বারে জনপ্রিয়তা। তবে পিৎজা খেয়ে কার না ভালোলাগে, মার্গারেট জি, ডবল চিজ পিৎজা প্রভৃতি ভাবলেই যেন চলে আসে জিভে জল। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন সমস্ত খাওয়ারেরই করা হচ্ছে ফের বদল। এখনও বেরিয়েছে মাছের পিৎজা, চকলেট পিৎজা এমনকি কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে আনারসের পিৎজা। এবারও একটা একইরকম ভাইরাল পিৎজার রেসিপি নিয়ে চলে এসেছি আপনাদের কাছে। রেসিপিটির নাম লাংচার পিৎজা।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি বেশ কিছুদিন আগেই আনারসের পিৎজা করে ভাইরাল হয়েছিলেন একজন ব্যক্তি। ইতালির পিৎজা শেফ জিনো সরবিলো নেপলসের ভায়া দেই ট্রিবুনালি রাস্তায়ক্তি নিজস্ব পিৎজার রেস্তোরায় বানিয়েছিলেন মার্গারেট কন আনারস। যেই রেসিপি শুনেই সারা পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কারণ পিৎজার সঙ্গে আনারস একেবারেই বিপরীত ধর্মী দুটি জিনিস। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনকি সংবাদ মাধ্যমেও এই ধরনের পোস্ট ভাইরাল হয়েছিল খুব। তবে বাস্তবে কেউই মেনে নিতে পারেননি এই ধরনের রেসিপিকে। যদিও ইতালিয়ানরা অনেকেই বলেছিলেন এইটা ইউরোপিয়ান খাদ্য সংস্কৃতির একটা অংশ। তবে এবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় একইভাবে ভাইরাল লাংচার পিৎজা।
আরো পড়ুন: তপ্ত গরমে শরীরে জলের ঘাটতি হচ্ছে? শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে চটজলদি বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু কালোজিরে-শসার ঘন্ট
মূলত রুটি দিয়ে পিৎজা বানিয়েই তার ওপর দিয়ে দেওয়া হচ্ছে লাংচা। যেটা দেখেছি হতবাক নেটিজেনরা সকলেই। তবে এই ধরনের পোস্টগুলি যত তাড়াতাড়ি হয়ে যায় ভাইরাল। ততই দেখা যায় এই পোস্টগুলিতে কটাক্ষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এবারও হয়েছে তাই ইনস্টাগ্রামে রিয়েল ফুড নামে একটি চ্যানেল থেকে শেয়ার করা হয় এই রেসিপিটি রীলের আকারে। যা মুহূর্তের মধ্যেই দেখে ফেলেন হাজার হাজার মানুষ। তবে ভিডিও নিয়ে অনেকেই খিল্লি উড়িয়েছেন তাদের। অনেকে কমেন্ট করেছেন “ইটালিয়ানরা কোণে বসে কাঁদুন।”
View this post on Instagram
আবার কারুর বক্তব্য “কেউ গুলাব জামুনকে ভুল উচ্চারণ করছে, কেউ আবার তাদের ফুউজান বানাচ্ছে। এসব কি হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আবার অনেকে তাচ্ছিল্য সুরে বলেছেন “পরেরবার রাবড়ি বানাবেন চিজ দিয়ে।” আবার অনেকেই করেছেন বিস্ফোরক মন্তব্য “এই রাধুনীকে জেলে পাঠানো হোক, নাহলে এই পিৎজা খেয়ে মুখোশুদ্ধি করার জন্য একটু বিষ দেওয়া হোক।” তাহলে আপনাদের কি মত এই বিষয়ে?