প্রচণ্ড গরমে বাঙালি বাড়িতে ভুরিভুজে মাছ, মাংসের জাতীয় মশলাদার খাওয়ারের জায়গা নিয়ে নেয় নানান তরিতরকারি এবং শাকসবজি দিয়ে তৈরি নানা পদ। অসহ্য গরমে ডাল-ভাতই যেন অমৃত হয়ে ওঠে। তবে গ্রীষ্মকালে তো রকমারি সবজির অভাব হয়না। চেনা সবজি দিয়েই তৈরি করা যায় নানা নতুন পদ। যেমন ধরুন চালকুমড়োর ঘন্ট দিয়েই অনেকেই খেয়ে নিতে পারেন এক থালা ভাত। তবে চালকুমড়োর ঘন্ট তো অনেকবার খেয়েছেন এবার নাহয় স্বাদ বদলের জন্য বানিয়ে ফেলুন টক দই আর পোস্ত দিয়ে চালকুমড়ো। রইল রেসিপি।
উপকরণ:
তাহলে আর দেরি কেন? চটজলদি জেনে নিন কিভাবে বানাবেন টক দই এবং পোস্ত বাটা দিয়ে চালকুমড়ো। তবে তার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি উপকরণ লাগবে এই রেসিপিটি বানানোর জন্য। প্রয়োজন পড়বে – ৫০০ গ্রামের চালকুমড়ো, ৩ টেবিল চামচ পোস্ত, এক কাপ টক দই, আধ কাপ ধনেপাতা কুচি, ৩ চা চামচ সর্ষে বাটা, ২ চামচ কাঁচালঙ্কা কুচি, পরিমাণ অনুযায়ী সর্ষের তেল, প্রয়োজন অনুযায়ী চিনি এবং স্বাদ অনুযায়ী লবণ
প্রণালি:
প্রথমেই রান্না শুরু করার কিছুক্ষণ আগে এক কাপ জল পোস্ত ভিজিয়ে রাখুন। এরপর প্রায় মিনিট তিরিশ পর কাঁচালঙ্কা এবং পোস্ত নিয়েএকসঙ্গে মিক্সিতে ভালোভাবে পেস্ট করে নিন। তারপর মিক্সিতে বেঁটে নেওয়া পেস্টটি একটি পাত্রে তুলে রাখুন। এরপর চালকুমড়োটা ভালোভাবে ধুয়ে নিন। তারপর চালকুমড়োটি কুচি কুচি করে কেটে নিন।
এরপর আগে থেকে বেঁটে রাখা পোস্ত এবং কাঁচালঙ্কা বাটার পাত্রে দিয়ে দিন টক দই, সর্ষে এবং কুচি কুচি করে কেটে রাখা চাকুমড়ো। তারপর টক দই, সর্ষে, পোস্ত বাটা এবং কুচিয়ে রাখা চালকুমড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর গ্যাসে বসিয়ে দিন কড়াই তাতে দিয়ে দিন তেল। তেল ভালো মতো গরম হয়ে গেলে তাতে ফোড়ন দিয়ে নিন কাঁচালঙ্কা এবং জিরে।
ফোড়ন দেওয়া হয়ে গেলে তাতে দিয়ে দিন আগে থেকে ম্যারিনেট করে রাখা চালকুমড়ো। তারপর সবটা ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে ঢাকা দিয়ে রাখুন। ২-৩ মিনিট পর ঢাকনা খুলে স্বাদ অনুযায়ী লবণ, চিনি এবং সামান্য পরিমাণে তেল দিয়ে নেড়েচেড়ে আঁচ কমিয়ে ঢাকা বন্ধ করে রাখুন। রান্না থেকে গন্ধ বেরোতে শুরু করলে কড়াই থেকে খাবার পাত্রে নামিয়ে উপর থেকে ধনেপাতা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।