দেওয়ালে পিঠ থেকে যাওয়া অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখনীতে জি বাংলার পর্দায় চলা ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul)। একটা সময় যে ধারাবাহিক চোখে সহ্য করতে পারত না দর্শকরা আজ সেই ধারাবাহিকটি দেখার জন্যই উৎসুক হয়ে থাকেন দর্শকরা। হ্যাঁ গল্পের প্লট পরিবর্তনই এমন কামাল সম্ভব হয়েছে।
একই মায়ের পেটের দুই বোনের সম্পর্ক কতটা তিক্ত হতে পারে তার অন্যতম নিদর্শন এই ধারাবাহিকটি। যদিও ছোট বোন কিন্তু নিজের দিদিকে ভালবাসে। কিন্তু দিদির নিজের বোনের প্রতি ভালোবাসা, মমত্ববোধ কিছুই নেই। তার মন জুড়ে শুধুমাত্রই হিংসা। নিজের বোনের জীবনে কোনও ভালো হোক সে চায় না। বরং সেই দুর্বিষহ করে তুলতে চায় নিজের বোনের জীবন।
এবং এই লক্ষ্যে সফল হয় সে। বোনের জীবনের সুখ, শান্তি, স্বামীর ভালোবাসা সবকিছু কেড়ে নিয়েছে সে।মেঘকে সবার সামনে অপদস্থ হতে দেখলে তার মধ্যে আসে পৈশাচিক আনন্দ। ইতিমধ্যেই ময়ূরীর চক্রান্তে বিষিয়ে গেছে মেঘ এবং তার স্বামী সৌরনীলের সংসার।অন্যদিকে অধ্যাপক সৌরনীল অত্যন্তভাবে মেরুদন্ডহীন একটি চরিত্র। সে শুধুমাত্র মেঘকে অবিশ্বাস, অপমান এবং অপদস্থ করতেই জানে।
মেঘের জীবনের নায়ক হিসেবে আপনার কাকে পছন্দ? কে বেশি যোগ্য?
সৌরনীলকে ‘অযোগ্য’, ‘স্পাইনেস’ তকমা দিয়েছেন নেটিজেনরা। তারা দাবি করেন মেঘের জীবনে যেন অন্য কোনও নায়ককে নিয়ে আসা হয়। আর তেমনটাই দেখানো হয় ধারাবাহিকে। মেঘের জীবন নিয়ে এসেছে নতুন এক হিরো। আর যাকে দেখে দর্শকরা বলছেন সৌরনীল নয় আসল নায়ক হওয়ার যোগ্যতা এরই। ইতিমধ্যেই মিঠাই ধারাবাহিকের জনপ্রিয় নায়ক আদৃত রায়ের জায়গা দখল করতে চলেছেন তিনি।
অভিনেতা শমীক চক্রবর্তীকে আগে কোথায় দেখেছেন?
যেমন সুঠাম চেহারা, তেমনই সুদর্শন দেখতে এবং অমায়িক ব্যবহার। মেঘের জীবনের নায়কের তো এমনই হওয়ার কথা ছিল। ইচ্ছে পুতুল-এ মেঘের জীবনের এই নতুন মানুষটি হচ্ছেন অভিনেতা শমীক চক্রবর্তী। এর আগে ‘ফেলনা’, ‘রানী রাসমণি’, ‘গোধূলি আলাপ’-এর মতো একাধিক জনপ্রিয় সমস্ত ধারাবাহিকের গুরুত্বপূর্ণ অংশ থেকেছেন শমীক। ইতিমধ্যেই তিনি কাজ করে ফেলেছেন বড় পর্দাতেও। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে দুটি ছবি। আর এবার নতুন ভূমিকায় তাঁকে দেখে ভীষণ উৎসাহী তার অনুরাগীরা। ইতিমধ্যেই নারীকুলের মনে ঝড় তুলেছেন তিনি।
View this post on Instagram