জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) চলে এসেছি দারুন মোড়। চন্দনের সমস্ত সত্যি চলে এসেছে বিপাশার সামনে। কান্নায় ভেঙে পরে বিপাশা। সে বুঝতে পারে দোষটা আসলে মধুরিমাও নয়, সমস্ত দোষটাই আসলে চন্দনের। চন্দন তার মতোই ঠকিয়েছে মধুরিমাকেও। সবটা শুনেই বিপাশা বলে যায় বাড়িতে। ওদিকে তীর্থর বাড়িতে রঞ্জা তীর্থর আত্মীয়স্বজন এবং পাড়া প্রতিবেশিদের বলতে থাকে পুতুল কতটা খারাপ মেয়ে যে এইভাবে বাড়ি ছেড়ে চলে গেল।
সবটা শুনে তারাও বলতে থাকে সত্যিই পুতুলের কোনও বুদ্ধি নেই। এরকম মেয়েকে তীর্থর বিয়ে করা উচিৎ হয়নি। তখনই চলে আসে তীর্থ আর পুতুল। সেখানে আসেই তীর্থ রঞ্জা কথা শুনে বলে সে কেন রকম কথা বলছে সে তো জানে পুতুল বাচ্চাসুলোভ। সেই কথা শুনে রঞ্জা বলে তার এরকম একটা মেয়েকে বিয়ে করা উচিত হয়নি। তখন তীর্থ তাকে বলে পুতুল তাকে কথা দিয়েছে সে আর কোনও ভুল করবে না। পুতুলও বলে সে একটা দোষ করে ফেলেছে সেটা আর হবে না। কিন্তু তাও রঞ্জা অপমান করতে থাকে পুতুলকে।
তখন পুতুল তীর্থকে বলে রঞ্জা সবসময় তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। সেটা শুনেই আরও রেগে যায় রঞ্জা। পুতুল জিজ্ঞাসা করে সে কোথায় সাজবে তখন রঞ্জা বলে তাকে সাজতে হবে না। কিন্তু তীর্থ বলে বলে সে সাজবে আর তার বৌভাইও হবে। সেটা শুনে রঞ্জা আর কিছু বলতে পারে না। এদিকে বিপাশারা সবাই বিপাশার শ্বশুরবাড়িতে আসে পড়ে। বিপাশাকে কান্নাকাটি করতে দেখে শিমুল তাকে সামলানোর চেষ্টা করে। সুচরিতা বলে তাকে শক্ত হতে হবে। তখনই সেখানেই চলে আসে চন্দনের মা। তাকে দেখে বিপাশা বলে এবার তার কাজ তাকেই করতে হবে কারণ বাড়িতে নতুন বউ আসছে।
সেটা শুনেই অবাক হয়ে যান তিনি কিন্তু বিপাশা তাকে সবটা খুলে বলে। তিনি প্রথমে মধুরিমাকে মেনে নিতে না চাইলেও বিপাশা তাকে বলে মেয়েটির কোনও দোষ নেই সব দোষ চন্দনের। বিপাশাকে আশ্বস্ত করার জন্য শিমুল বলে তারা একটা আলাদা বাড়ি ভাড়া করে থাকবে কিন্তু বিপাশা শিমুলের কথাতেই খালি বলতে তাহলে একটি সন্তানের জন্য তার স্বামী তাকে এইভাবে ঠকালো। শীর্ষাও বলে সে এতটা সহ্য ক্ষমতা রাখতে পারত না। কিন্তু বিপাশা তাকে বলে পরিস্থিতি সবটা শিখিয়ে দেয়।
আরো পড়ুন: সদ্য স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে পা রেখেছেন কলেজে! নিজের প্রাণের মানুষ, জীবন নিয়ে অকপট পর্দার মেঘ! জেনে নিন অজানা তথ্য
তখনই চলে আসে চয়ন। বিপাশার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলার চেষ্টা করতে থাকে সে। কিন্তু সুচরিতা তাকে জানিয়ে দেয় বিপাশার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে তার ব্রেন ওয়াশ সে আর করতে পারবে না। বিপাশা সবটা জেনে গেছে আর কিছু সে করতে পারবে না। চন্দনের মাও রেগে বলেন এই বাড়িতে বিপাশাই থাকবে, চন্দন বা তার স্ত্রীর এই বাড়িতে কোনও জায়গা হবে না। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের এবার কোন দিকে মোড় নেবে বিপাশার জীবন? শিমুলের জীবনে আবার কি আসবে কোনও নতুন সমস্যা?