টেলিপাড়ায় খবর শেষ হচ্ছে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora)। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে শেষ পর্বের শুটিং। এমনকি কলাকুশলীরা সমাজ মাধ্যমে আবেগপ্রবণ হয়ে সেইসব মুহূর্ত ভাগও করে নিয়েছেন। সম্প্রচার বাকি রয়েছে ধারাবাহিকের আর কয়েকটি পর্বের। দর্শক যেন সেটাও আর দেখতে চান না! রাই-অনির্বাণ এর সম্পর্ক শুরুর দিন থেকেই এতটাই তিক্ত যে বর্তমান প্রজন্মের ভাষা অনুযায়ী, ‘টক্সিক রিলেশনশিপ’ -এ পরিণত হয়েছে!
সম্প্রতি একটি পর্বে দেখা গেল, অনির্বাণ রাইকে জিজ্ঞেস করছে কিছু কথা কিন্তু রাই উত্তর দিচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে রাইয়ের মানুষিক অবস্থার কথা ভুলে দিয়ে অনির্বাণ যথেষ্ট অকথ্য ভাষায় অপমান করে রাইকে। যদিও সব চুপচাপ সহ্য করে রাই, কিন্তু দর্শক এসব সহ্য করতে মোটেই রাজি নয়! প্রসঙ্গত, ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী কিছুদিন আগেই রাই জন্ম দিয়েছে একটি কন্যা সন্তানের। ‘পোস্টর্পাটম ডিপপ্রেশন’ -এর শিকার রাই বর্তমানে।
বাস্তব জীবনে যারা মাতৃত্বের স্বাদ পেয়েছেন, তারা অবশ্যই জানেন এই পরিস্থিতিতে মায়েদের মানসিক স্বাস্থ্য যথেষ্টই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু ধারাবাহিকে অনির্বাণ চরিত্রটির একাধিক নারী সঙ্গ রয়েছে। যদিও তাদের বন্ধু বা অতীতের অধ্যায় হিসাবে রাইয়ের সামনে তুলে ধরে অনির্বাণ, তবুও তাঁদের কাছাকাছি আসতে দেখে রাইয়ের সন্দেহ হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু স্ত্রীর মানসিক অবস্থা উন্নত করার জায়গায়, আরও অবনতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে অনির্বাণ।
ধারাবাহিকের ওই পর্বটি দেখে, সমাজ মাধ্যমে অনেকেই লিখেছেন— “যে অনির্বাণ একসময় রায়ের জন্য জীবন দিতে রাজি ছিল, আজ তার এমন অবস্থায় পাশে না দাঁড়িয়ে এই দুর্ব্যবহার করছে!” কেউ কটাক্ষ করেছেন, “অনির্বাণ একটা মেরুদণ্ডহীন, চরিত্রহীন পুরুষ! বাংলা ধারাবাহিকে এর আগে আমি দেখিনি।” কারোর চোখে আবার রাইও সমান দোষী! তাদের কথায়, “দীর্ঘদিন ধরে তৃতীয় ব্যক্তি সংসারের আসা-যাওয়া করছে দেখেও রায় কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
আরও পড়ুনঃ ‘আমি জয়ার থেকে ভালো মানুষ’! জয়া বচ্চনকে ক’টাক্ষ করে ক্যামেরার সামনে বি’স্ফো’রক মন্তব্য মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের!
বরং বিষাক্ত সম্পর্কটাকে টেনে নিয়ে গেছে, দোষ দুজনেরই সমান!” কেউ আবার অন্য সুরে বলেছেন, “সমাজে সবসময় ভালোরাই থাকবে এমন নয়। অনির্বাণের মতো চরিত্র ওরা থাকে।” সবশেষে বলাই যায় আর মাত্র কয়েকটা দিন বা পর্ব বাকি রয়েছে ধারাবাহিকের, তাও দর্শকের কাছে দুর্বিসহ হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি। সবাই চাইছেন যত তাড়াতাড়ি শেষ করে দেওয়া যায়, ততই ভালো।