শ্যামবর্ণা দীপার জীবন সংগ্রামের কাহিনী নিয়ে তৈরি স্টার জলসার (Star Jalsha) বেঙ্গল টপার ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowwa)। শুরুর পর থেকেই দর্শকদের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছিল এই সিরিয়াল। চলতি সপ্তাহের টিআরপি (TRP) তালিকায় ছয় নম্বর স্থানে থাকলেও, বিগত বেশ কয়েকমাস বেঙ্গল টপার ছিল এই ধারাবাহিক।সূর্য-দীপা-মিশকার ত্রিকোণ প্রেম আর সম্পর্কের জটিলতা মন কেড়েছিল ধারাবাহিক প্রেমীদের।
দীপা জানতে পেরেছে, তাঁর অজান্তেই অর্জুন তাঁকে একের পর এক অযাচিত সাহায্য করে করে চলেছে। তাই তাঁকে সাফ জানিয়ে দেয়, সে আর অর্জুনের কাজ করবে না। নতুন কিছু করবে। অর্জুন যেন তাঁকে ক্ষমা করে। শুনে অর্জুন বলে, দীপা কি আজ পর্যন্ত কাউকে ক্ষমা করেছে? আর এই মুহূর্তে কাজটা না করলে সোনা-রুপার কাষ্টডির কি হবে? দীপার স্থায়ী রোজগার না থাকলে আদালত সূর্যকেই সোনা-রুপার দায়িত্ব দেবে।
কাষ্টডি নিয়ে সূর্য দীপার মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে। সূর্য মরিয়া ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সোনা-রুপাকে নিজের কাছে রাখার। তাই ‘যার পর নাই’ চেষ্টা করে চলেছে সে। এই মুহূর্তে রুপা রয়েছে সেনগুপ্ত বাড়িতে। বাবার সঙ্গে। তাঁকে দেখতেই এক মহিলা অফিসার এসেছেন।
আরো পড়ুন: ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকের আগামী পর্ব ফাঁস! পর্ণার জীবনে আসতে চলেছে নতুন ঝড়
মহিলা অফিসার তদারকি করে দেখবেন রুপা বাবার কাছে কতটা ভাল আছে। কিন্তু তাঁর সঙ্গেও বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। তখনই লাবণ্য সেনগুপ্ত সাবধান করে তাঁকে। অফিসার যদি সূর্যকে এরকম ব্যবহার করতে দেখে তাহলে ফল ভাল হবে না। কাষ্টডি হারাবে সূর্য। এ কথা শুনে খানিক দমে যায় সূর্য। আর মিশকা ভাবেই এই সুযোগকেই কাজে লাগাতে হবে।
এদিকে, রুপা বায়না জুড়েছে তাঁর মা ও হিংসেকুটির কাছে যাওয়ার। তাঁদের একবার দেখতে চাই সে। কিন্তু সূর্য বা সেনগুপ্ত বাড়ির কেউই জানেনা দীপা ও সোনা এই মুহূর্তে কোথায়। সূর্যও সেই কথাই রুপাকে বলে। তাও রুপা বেশ জোরের সঙ্গেই তাঁর বাবাকে বলে, “আমি মা আর হিংসেকুটিকে দেখতে যাবই! আর যদি আমি দেখি ওরা আমাকে ছেড়ে চলে ভাল নেই, আমি ওদের কাছেই চলে যাব।”