জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

এদিক নাই ওদিক আছে! স্ত্রীদের বিশ্বাস করার নাম নেই কিন্তু অধিকার বোধ প্রখর! নায়ক থেকে ভিলেন হয়ে উঠেছে সূর্য আর নীল

বাংলা টেলিভিশনের ধারাবাহিকগুলিতে বিভিন্ন সময় নারীদের অসহায় পরিস্থিতি, নারীদের পরাধীনতা, স্বামী-শাশুড়ির ভালোবাসা পাওয়ার জন্য নারীদের কঠিন লড়াই এই সব দেখানো হয়ে থাকে।‌ বলা যায় দাপুটে নারীদের থেকে তাদের প্যানপ্যানে কান্না, কষ্ট বেশি বিক্রি হয় বাজারে।

আর বাংলা টেলিভিশনের নারীদের থেকে বেশি দুঃখী, তাঁদের থেকে বেশি কষ্টময় জীবন বোধহয় আর কারর নেই। আর সেই ধারাবাহিকতাতেই এগিয়ে চলেছে বাংলা টেলিভিশনের ধারাবাহিক গুলি। সেখানে তাদের স্বামীরা না হয় তাদের মেনে নেয় না, আবার অনেক ক্ষেত্রে শাশুড়ির বিরাগভাজন হয় তারা।‌ এছাড়াও পারিপার্শ্বিক শত্রুর তো অভাব নেই।

deepa surjo anurager chhowa

এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনে এমন দুটি ধারাবাহিক চলছে যেখানে স্বামীরা তাদের স্ত্রীদের মেনে না নিলেও অধিকার বোধ দেখাতে কিন্তু ভুলছে না। এই যেমন জি বাংলার (Zee Bangla) ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul)। আবার অন্যদিকে স্টার জলসার (Star Jalsha) ধারাবাহিক অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa)।‌ এই দুই ধারাবাহিকের মধ্যে টিআরপি নম্বরের বিস্তর পার্থক্য থাকলেও গল্প কিন্তু বেশ ভীষণ রকম মিল রয়েছে।

এই দুই ধারাবাহিকের নায়িকা দীপা এবং মেঘ। দীপার স্বামী সূর্য পেশায় চিকিৎসক আর অন্যদিকে মেঘের স্বামী সৌরনীল অধ্যাপক। অর্থাৎ দুজনেই বেশ জ্ঞানীগুণী শিক্ষিত মানুষ বলে বিবেচিত হলেও আদতে তারা আকাট মূর্খ। বিভিন্ন সময়‌ই নিজেদের মুর্খামির পরিচয় দিয়ে চলেছেন এই দুজন।

icche putul neel megh

না দুজনই নিজের স্ত্রীদের বিশ্বাস করেন না। বরং এই দুই নায়িকার জীবনে দুজন মহিলা ভিলেন রয়েছে জানা সত্ত্বেও সেই ভিলেনদের ওপরেই অগাধ বিশ্বাস তাদের।‌ জীবনে একটাই কাজ এই দুই নায়ক মন দিয়ে করেন আর সেটা হল নিজেদের স্ত্রীদের অবিশ্বাস। তবে অবিশ্বাস, অবহেলা, অচ্ছেদা করলেও নিজেদের স্ত্রীদের ওপর অধিকারবোধ কিন্তু কমেনি তাদের। সবকিছুতেই নিজেদের স্ত্রীদের ওপর অধিকারবোধ দেখাতে চলে আসে তারা। অবশ্য আবার স্ত্রী বলে তাদের স্বীকার‌ও করে না। ইতিমধ্যেই বাংলা টেলিভিশনের এই দুই নায়ক দর্শকদের চোখে খলনায়কে পরিণত হয়েছেন। নায়িকাদের জীবনে অন্য নায়ক আনা হোক বলেও দাবি তুলেছেন অনেকেই।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।