টেলিভিশনে ভীষণ ভাবে জনপ্রিয় অহনা দত্ত ( Ahona Dutta ) ওরফে অনুরাগের ছোঁয়ার মিশকা। এই সিরিয়ালে ডেবিউ করেই তিনি অভিনেতা হিসাবে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন। প্রেমিক দীপঙ্কর রায়ের ( Dipankar Roy ) সঙ্গে অভিনেত্রীর সম্পর্ক মেনে নেননি তাঁর মা। তাই বছর দুয়েক আগেই মায়ের বাড়ি ছেড়েছিলেন তিনি।
স্টার জলসার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিক থেকেই প্রেম শুরু তাদের এবং তারপর একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন এই জুটি। শোনা যায়, বাগ্দানও নাকি সেরে ফেলেছেন তাঁরা। যদিও এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্যই আজ পর্যন্ত করেননি কেউই। তবে জানা গিয়েছিল, দেরি করে হলেও বাগ্দানের চিন্তাভাবনা করছিলেন দীপঙ্কর ও অহনা দু’জনই।
এই সম্পর্ককে কেন্দ্র করে নিজের মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল না থাকলেও দীপঙ্করের মা বাবার সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল অহনার। তবে তার দূরত্ব বেড়েছিল নিজের মায়ের সঙ্গে। প্রেমিকের সঙ্গে থাকবেন বলে বাড়ি ছেড়েছিলেন অভিনেত্রী। মায়ের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি তখন থেকেই। মেয়ের বিরুদ্ধে গলা চড়িয়েছিলেন মা। সে দূরত্ব এখনো কমেনি।
এত খুশির মাঝে তাহলে এ কিসের শূন্যতা অহনার?
অন্যদিকে, দীপঙ্করের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্রে তাঁর পরিবার আপন হয়ে উঠেছিল অহনার। মাঝেমধ্যেই তাঁদের সঙ্গে কাটানো মিষ্টি সব মুহূর্তের ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করতেন অহনা। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একসঙ্গেই দেখা যেত তাঁদের। মোট কথা, অল্প সময়ের মধ্যেই দীপঙ্করের মায়ের সঙ্গে খুব সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল অহনার।
তাঁর সব শূন্যস্থানই পূরণ করছেন দীপঙ্কর, সেকথা বছরখানেক আগেই সমাজমাধ্যমের পাতায় লিখে জানিয়েছিলেন অহনা। এরকম সময়ের মধ্যেই শোক নেমে এল এই সিরিয়াল পাড়ার জনপ্রিয় খলনায়িকা ও তাঁর প্রেমিকের জীবনে। হবু শাশুড়িকে হারালেন অহনা। জানা গিয়েছে, অসুস্থতার কারণে প্রয়াত হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ধারাবাহিক হোক বা সিনেমা সবেতেই শোনা যায় নায়কের কেচ্ছা! বউয়ের ধমক খেয়ে, আপাতত সিনেমা বিশ বাঁও জলে জি বাংলার হিরোর!
কিছু মুহূর্তের ছবি দিয়ে আবেগপ্রবণ পোস্ট করেন অহনা লিখেছেন, “আর কোনও কষ্ট হবেনা তোমার! নতুন করে আবার জন্ম নিও। আর এইবার সমুদ্রের ঢেউ হয়ে এসো, তোমাকে শেষবারের মত তোমার পছন্দের জায়গা তে নিয়ে যেতে পারলাম না। তবে পরের বার দীপঙ্কর আর মৌসুমীকেই ছেলে মেয়ে রূপে গ্রহণ কর, বড্ড যে ভালবাসে তোমাকে। পৃথিবীর সব থেকে ভাল ছেলে মেয়ের সব থেকে ভাল মা, আর আমাদের ব্যপারে নাই বা বললাম। আবার দেখা হবে আমাদের,আবার ওষুধ খাওয়ার জন্য বকব তোমাকে, আবার চুড়িদার জোর করে পরাবো, আবার আন্টি বলে ডাকব”।